স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবনের হাড়বারিয়া এলাকায় ৭৭৫ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে।
শনিবার রাতে বন্দরের পশুর নদের হাড়বাড়িয়া এলাকায় তলা ফেটে ‘এমভি বিলাশ’ নামের কয়লাবোঝাই ওই জাহাজটি ডুবে যায়।
মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে হাড়বাড়িয়ার ৫ নম্বর এ্যাংকরের কাছে লাইটারটি কাত হয়ে ডুবে আছে। যার কিছুটা দেখা যাচ্ছে। তবে এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায় নি।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. ওয়ালিউল্লাহ রোববার দুপুরে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ডুবে যাওয়া এমভি বিলাশ নামের জাহাজটি ৭৭৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে যাচ্ছিল। পথে ডুব চরে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায়।
কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. লালন হাওলাদার বলেন, গত ১৩ এপ্রিল লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি অবজারভেটর জাহাজটি ২৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ার ৬ নম্বর অ্যাংকরে নোঙর করে।
১৪ এপ্রিল সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মাদার ভ্যাসেলটি থেকে লাইটার জাহাজটিতে ৭৭৫ মেট্রিকটন কয়লা বোঝাই করা হয়। এটি ঢাকার মীরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে হারবাড়িয়ার ৫ নাম্বার এ্যাংকরে পৌছে ডুবো চরে আটকা পড়ে।
‘লাইটারের মাস্টার ডুবোচর থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য মংলা বন্দরের সাহায্য চায়। বন্দর কতৃপক্ষের উদ্ধার যানটি ঘটনাস্থলে পৌঁছেও তা রক্ষা করতে পারেনি।’
ডুবে যাওয়া লাইটারটি এক হাজার মেট্রিকটন ধারণক্ষমতার ছিল বলে দাবি করে তিনি বলেন, প্রবল জোয়ারের চাপে কয়লা বোঝাই লাইটারটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
লাইটারের কয়লা কোথাও ভেসে যায়নি এবং এতে পরিবেশের কোনো ক্ষতির আশঙ্কাও নেই বলে দাবি করে ওই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
হারবার মাস্টার ওয়ালিউল্লাহ বলেন, কয়লাবাহী লাইটার এমভি বিলাস সাহায্য চাইলে উদ্ধার যান এমভি শিপসা সেখানে পৌঁছে উদ্ধারের চেষ্টা করে। তবে রাত ৩টার দিকে জোয়ারের পানির তোড়ে কয়লা বোঝাই লাইটারটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
লাইটারটি দেখা যাচ্ছে। তা উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এইচ//এসআই/বিআই/১৫ এপ্রিল ২০১৮