স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চিকিৎসকদের আবাসিক কোয়াটারে জানালার গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার গভীর রাতে চিকিৎসক কোয়াটারের ৩নং ভবনের নিচতলার বাসায় গ্রিল কেটে ঢুকে দুর্বৃত্তরা। তারা বাসার আলমারিতে থাকা সাড়ে ৮ ভরি সোনা ও ১৩ ভরি রুপার গহনাসহ নগদ টাকা লুটে নেয়।
হাসপাতালের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের তিনতলা ওই কোয়াটার ভবনের নিচতলায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জহিরুল ইসলাম। বুধবার রাতের শিফটে হাসপাতারের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকায় ঘটনার সময় বাসায় ছিলেন না তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহাদাত হোসেন ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক।
ডা. জহিরুল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বুধবার রাতের শিফটে হাসপাতালে আমার দায়িত্ব ছিল। রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ‘নাইট শিফট’।
‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টার দিকে আমি আমার স্ত্রীকে ফোন দিলে তার নম্বরটি বন্ধ পাই। এরপর বেশ কয়েক বার চেষ্টা করেও ফোনে না পেয়ে সকাল পৌনে ৮টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে চুরি ঘটনা জনাতে পারি।’
বিষয়টি হাসপাতাল কর্তিপক্ষকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
রাতে ডা. জহিরুলের স্ত্রী-সন্তানরা যে কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন তার পাশের একটি কক্ষের জানালার গ্রিল কেটে রাতে ঘরে ঢোকে দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের শোবার ঘরে স্ত্রীর ফোন নিয়ে যায় এবং আলমারি খুলে তছনছ করে।
ডা. জহিরুলের স্ত্রী ফাতেমা পারভিন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি রুমে আলমারির দরজা খোলা। আলমারির ভেতরে তছনছ করা। আলমারিতে থাকা আমার এবং দুই মেয়ের গহনা ও নগদ টাকা সব কিছু নিয়ে গেছে। পাশের রুমে গিয়ে দেখি জানালার গ্রিল কাটা।
‘সকাল থেকে এসব দেখে আমার চার বছর ও সাত বছর বয়সী দুই মেয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছে।’
বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোশারফ হোসেন বলেন, দিনে বা রাতে হাসপাতারের জন্য আমাদের নিজেস্ব কোন ধরণের নিরাপত্তা প্রহরী নেই। হাসপাতালের অভ্যন্তরে একটি নৌ পুলিশের ফাঁড়ি থাকার পরও এ ধরণের ঘটনা দুঃখজনক।
রাতে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের প্রতিবেশীরাও কিছু টের পায়নি। বাসায় কেবল ডা. জাহিরুলের স্ত্রী ও দুটি শিশু সন্তান ছিল। বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
এ ঘটনায় সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে এবং মালামাল উদ্ধারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক বাগেরহাট ইনফো ডটকম বলেন, আমাদের ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করেছি। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারসহ সব দিক বিবেচনার নিয়ে জড়িতদের ধরতে কাজ চলছে।
এইচ//এসআই/বিআই/০৬ এপ্রিল ২০১৮