স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবনের তিনটি বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করছে।
রোববার (১ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
র্যার-৮ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব জানান, আত্মসমর্পণ করতে যাওয়া বনদস্যু বাহিনীর মধ্যে রয়েছে মেহেদী হাসান ওরফে ডন, জাহাঙ্গীর ওরফে ছোট জাহাঙ্গীর ও ছোট সুমন বাহিনী।
“এই তিনটি দস্যুদলের ২৫ থেকে ৩০ জন সদস্য দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করবে বলে ধারণা করছি।”
তিনি বলেন, “সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের জীবিকা নির্বিঘ্ন করতে র্যাব কাজ করে যাচ্ছে। সুন্দরবনের পেশাজীবীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে আমাদের ট্ররালেন্স জিরো। নিয়মিত অভিযানের কারণে সুন্দরবনের দস্যুরা এখন একেবারেই কোনঠাসা।”
এই র্যাব কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালের ৩১ মে বাগেরহাটের মংলায় বনদস্যু মাস্টার বাহিনীর প্রধান মো. মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টারের আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে এই প্রক্রিয়ার শুরু হয়। গত দুই বছরের মতো সময়ে সুন্দরবনের ১৭টি বনদস্যু বাহিনীর ১৯০ জন সদস্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করল।
এ সময় তারা দেশি-বিদেশি ৩২০টি অস্ত্র এবং ১৬ হাজার ৮৫৫টি গোলাবারুদ জমা দেয়।
এছাড়া গত ছয় বছরে র্যাবের হাতে সুন্দরবনে দস্যুতার অভিযোগে ৫৪৫ জন গ্রেপ্তার হন। তাদের কাছ থেকে ১৪৯৮টি দেশি বিদেশি অস্ত্র ও ৩২ হাজার ১৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়। এসময় র্যাবের অভিযানের মধ্যে গোলাগুলিতে প্রায় শতাধিক কথিত বনদস্যু নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, এই তিন বাহিনীর মধ্যে মেহেদী হাসান ওরফে ডন ২০০৯ সাল থেকে নিজ নামে বাহিনী গড়ে তোলেন। তার বাহিনীতে সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ১২জন। তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় জেলেদের অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
অপর দুই দস্যু বাহিনী জাহাঙ্গীর ওরফে ছোট জাহাঙ্গীর এবং ছোট সুমন ২০১৫ সালে নিজ নিজ নামে বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা ৭ থেকে ১০ জন। এসব বাহিনীর কাছে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে।
এইচ//এসআই/বিআই/০১ এপ্রিল ২০১৮