স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে যশোরের বেনাপোলগামী একটি পরিবহন বাগেরহাটের সড়কে ডাকাতির শিকার হয়েছে।
বাগেরহাট সদরের বারাকপুর শ্রীঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, কুয়াকাটা এক্সপ্রেস নামের পরিবহনটি ভারতের সীমান্তবর্তী বেনাপোলে যাচ্ছিল। ওই বাসে যাত্রীবেশে ওঠা ডাকাতরা ১৩ জনকে কুপিয়ে জখম করে তাদের সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে।
বার্তা সংস্থা বিডি নিউজ জানিয়েছে, আহত আটজনকে ভোর ৪টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাসটিতে অন্তত পাঁচজন ভারতের পাসপোর্টধারী নাগরিক ছিলেন। বেশ কয়েক জন যাত্রী বলেছেন, তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছিলেন।
ডাকাতির শিকার যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটা এক্সপ্রেস বাসটি সন্ধ্যা ৭টায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে রওনা হয়।
‘বাসে থাকা যাত্রীবেশী ১০ জন রাত আড়াইটার দিকে ছুরিসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে লুটপাট শুরু করে। তারা যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সকল মালামাল লুটে নেয়।’
তাদের ছুরিকাঘাতে চালক ও সহকারীসহ ১৩ জন আহত হন। গাড়িতে বেশ কজন অসুস্থ যাত্রী ছিলেন, যারা চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছিলেন।
তার দাবি, ডাকাতরা পিরোজপুর থেকে যাত্রীবেসে বাসে ওঠে।
আমিনুল বলেন, ‘তারা প্রথমে গাড়ির চালককে চড়-থাপড় মারতে থাকে। এতে সবাই ভেবেছিল খারাপ চালাচ্ছে বলে হয়ত তাকে মারছে। পরে ডাকাতরা সবার কাছে যা ছিল সব একে একে বের করতে বলে। এ সময় তারা গাড়ির ভেতরে লাইট কিংবা টর্চলাইট কিছুই জ্বালাতে দেয়নি।’
বাস চালকের সহকারী (হেলপার) জামির হোসেন বলেন, পিরোজপুর থেকে যাত্রীবেসে যে ১০ ডাকাত গাড়িতে ওঠে তাদের সবার অনলাইনে টিকিট বুকিং ছিল। ডাকাতির পর তারা নেমে গেলে একটি ছোট পিকআপ তাদের তুলে নিয়ে দ্রুত বাগেরহাটের দিকে চলে যায়।’
কুয়াকাটা এক্সপ্রেসের খুলনা কাউন্টারের প্রতিনিধি মো. আনাস বলেন, ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে অন্তত ১৩ জন আহত হন। ওই অবস্থায় বাসটি খুলনা এলে আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মো. মমতাজুল হক জানান, চিকিৎসাধীন যাত্রীদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখছে তারা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আবু সুফিয়ান রুস্তম বলেন, আহতরা আশংকামুক্ত। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কয়েক জন চিকিৎসার নিয়ে চলেও গেছেন।
তবে ওই ডাকাতির বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাটের কাটাখালি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
এরআগে গেল ৭ মার্চ রাতে বাগেরহাট-মোরেলগঞ্জ সড়কে যাত্রীবেশে শরণখোলাগামী মেঘনা পরিবহনের একটি বাসে হানা দিয়ে চালক, সুপারভাইজারসহ ৪ জনকে কুপিয়ে যাত্রীদের নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে একদল ডাকাত।
পুলিশ ওই ডাকাতির কথা স্বীকার করলেও সে সময় ঘটনাস্থল মোরেলগঞ্জ থানার নাকি কচুয়া থানার অধীনে তা নিয়ে দু’ থানা মধ্যে চলছিল ‘ঠেলাঠেলি’।
এইচ//এসআই/বিআই/৩০ মার্চ, ২০১৮