স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা পরিবারের চার সদস্যসহ পাঁচজনকে আটক করেছে বাগেরহাট মডেল থানা-পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট শহরের রাহাতের মোড় থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। তিন নারীসহ চারজনের ওই রোহিঙ্গা পরিবারটির সঙ্গে আটক একজন বাংলাদেশিও রয়েছে।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- সোনা আলী (৬৫) ও তাঁর মেয়ে রাশিদা, মিনারা ও বেবী। আর বাংলাদেশি ব্যক্তির নাম ইলিয়াস। তাঁর বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার জাগিরাঘোনা গ্রামে।
পুলিশ জানায়, বুধবার ইলিয়াসের সঙ্গে ওই পরিবারটি বাসে করে বাগেরহাটে আসেন। তিন নারীর বয়স পনেরো থেকে আঠারো বছরের মধ্যে।
মো. ইলিয়াস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে এই পরিবারটি কক্সবাজারে আসেন। এরা টেকনাফের লেদামেকাশি ফটক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এখানে তাদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সেই সূত্রে দুই দিন আগে সোনা আলী ও তার মেয়ে রাশিদা বাংলাদেশ ঘুরে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করে।
‘আমি তাদের নিয়ে বাগেরহাটের হজরত খানজাহান (রহ.) মাজার দেখতে আসি। বুধবার সন্ধ্যায় আমরা মাজার দেখে শহরের একটি হোটেলে উঠি। আজ সকালে পুলিশ আমাদের ধরে থানায় নিয়ে আসে।’
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বাগেরহাট শহরের রাহাতের মোড়ে ঘোরাঘুরির সময় সন্দেহভাজন তিন নারীসহ মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা জানায়, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা এ দেশে এসেছেন।
এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ইলিয়াস নামের এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। তিনি দোভাষী হিসেবে ছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করে।
ওসি বলেন, প্রথমে ইলিয়াস অন্য দুই নারী বেবী ও মিনারাকে চেনে না বলে জানালেও পরে চেনে বলে স্বীকার করে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এজি//এসআই/বিআই/১৫ মার্চ, ২০১৮