স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোল্লাহাট থেকে এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ ধারণা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের সরোসপুর গ্রাম থেকে ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অস্বাভাবিকভাবে মারা যাওয়া দম্পতি হলেন ইমরান বিশ্বাস (২৬) ও সুমাইয়া আক্তার নিরমা (২১)। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের ভাষ্য, বুধবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে ইমরান তাঁর স্ত্রী সুমাইয়াকে মারপিট করেন। সুমাইয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
কিন্তু সুমাইয়াকে খুলনায় না নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন ইমরান। পথে সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মৃত্যুর পর ইমরান আজ সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম খায়রুল আনাম বলেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর স্বামী ইমরান বিশ্বাস বৃহষ্পতিবার সকালে ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
পারিবারিক সূত্র বলছে, প্রায় ৭ মাস আগে মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের সরোসপুর গ্রামের জাফর বিশ্বাসের দিন মজুর ছেলে ইমরানের সাথে একই গ্রামের আবু বক্কর শেখের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। এই বিবাদের জেরে বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী ইমরান ক্ষুব্দ হয়ে সুমাইয়াকে মারধর করে।
মারধরে স্ত্রীর মৃত্যু হওয়ায় ইমরান পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা ওসির। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি।
এইচ//এসআই/বিআই/১৫ মার্চ, ২০১৮