স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
• প্রায় দুই বছর ধরে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
• তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তিনদিন ধরে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
• ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অধ্যক্ষ অপসারণের এক দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে অচলবস্থা
বাগেরহাটের ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির (আইএমটি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে তৃতীয় দিনের মত আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাে. সিরাজুল ইসলামের অপসারণ ও নতুন অধ্যক্ষ পদায়নের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। তালা ঝুলিয়ে দেন শ্রেণিকক্ষ ও অফিসকক্ষে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সকাল থকে পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
সদর উপজেলার চিতলী বৈটপুর এলাকায় অবস্থিত মেরিন ইন্সটিটিউটের প্রায় দুই বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন সিরাজুল ইসলাম।
প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত রোববার রাত থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষর্থীরা। ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের প্রবেশ ঢেকাতে মঙ্গলবারের মত এদিনও ভোর থেকে ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকে সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, গ্যাসের বিল প্রদানের জন্য সরকারি বাজেট থাকা সত্বেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেন অধ্যক্ষে। এই খাত থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেখিয়ে নিজে প্রতি মাসে বেতন তুলছেন তিনি। হোস্টেলে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, হোস্টেল কক্ষ শিক্ষার্থীদের না দিয়ে বাইরের লোকের কাছে ভাড়া দেওয়া, ভর্তি বাণিজ্যসহ প্রতিষ্ঠান ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ১৭টি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাগেরহাট আইএমটি একজন শিক্ষক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, এখানের বিষয়গুলো এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট। দির্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম আর শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই অধ্যক্ষের অধিনেই কোন শিক্ষার্থীই এখন একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে চাইছেন না।’
সূত্র বলছে, বিদেশীদের চাহিদা মোতাবেক এবং যুগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে সরকার দেশের ৬টি আইএমটি প্রতিষ্ঠা করে। এর কার্যক্রম চলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে। প্রতিষ্ঠানের অচলবস্থা ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে চলা চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষকেও।
জানতে চাইলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস গতকাল সন্ধায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে সবার সাথে আলোচনা চলছে। আশা করছি আমরা একটি সমাধানে পৌছাতে পারবো।
এইচ//এসআই/বিআই/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮