স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
• সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজের মেরিন ক্রু তৈরির কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি), বাগেরহাট
• ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
• দাবি আদায়ে সোমবার থেকে ক্লাস বর্জন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা
• ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অধ্যক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
বাগেরহাটের ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির (আইএমটি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাে. সিরাজুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এসময় ভারপ্রাপ্ত ওই অধ্যক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং তাঁর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।
প্রায় দুই বছর ধরে শহরতলীর চিতলী বৈটপুর এলাকায় অবস্থিত মেরিন ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন প্রকৌশলী মাে. সিরাজুল ইসলাম।
ক্যাম্পাসে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীদের তোপেরমূখে তিনি আগেই গা ঢাকা দেন বলে দাবি আন্দলনকারীদের। তবে অধ্যক্ষের দাবি অফিসের কাজে তিনি ঢাকায় আছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে হোস্টেলে নিন্মমানের খাবার সরবরাহ করে আসছেন। বেশ কয়েকটি পদে কাগজে লোক নিয়োগ দেখিয়ে তাদের নামে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। হোস্টেলের নিচতলা ভাড়া দিয়ে টাকা আদায় করেন তিনি।
এছাড়া টাকার বিনিময়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি এবং বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকার কেটে ওই অধ্যক্ষ কেটে রাখতেন। এসব অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র দেওয়াসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদানের অভিযোগ আন্দলনরত শিক্ষার্থীদের।
বাগেরহাট আইএমটির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাহাবুবুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, আমাদের উপবৃত্তির টাকা কেটে নেওয়া হয়। ভুয়া কর্মচারী নিয়োগ দেখিয়ে মাসে মাসে টাকা তোলেন এখানকার অধ্যক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে তার সেচ্ছাচারিতার কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জিম্মি হয়ে আছে।
শিক্ষার্থী খালিদ হাসান বলেন, আমাদের অধ্যক্ষ টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেনা। তাই সিরাজুল স্যারের সেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আমরা সব শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। তার পদত্যাগের দাবিতে আজ সকাল থেকে সব ধরণের ক্লাস বর্জণ করে আমরা আন্দলন করছি। তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরবো না।
শিক্ষার্থী আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অধ্যক্ষের অপসারণ না হলে কঠোর আন্দলনের ঘোষণা দেন। তবে শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগ অস্বিকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার বিরুদ্ধে যেসব অনিয়মের অভিযোগ এনে আন্দোলন করছে তা সব মিথ্যা। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমি অফিসের কাজে বর্তমানে ঢাকায় আছি।
এইচ//এসআই/বিআই/১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮