স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন।
র্যাবের ভাষ্য, নিহত ব্যক্তিরা সুন্দরবনের কথিত দস্যু ‘সুমন বাহিনীর’ সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সুখপাড়ারচর এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলেদের বরাত দিয়ে র্যাব বলছে, নিহতরা হলেন মো. জাকারিয়া সরদার (৩০), মো. জুলফিকার শেখ (৩৫) ও মো. খোকন মিনা (৪৩)। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি একনলা বন্দুক, একটি কাটা রাইফেল, একটি পাইপগান ও ৩৯ টি গুলি।
র্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা প্রিন্স বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, দস্যু ‘সুমন বাহিনীর’ সদস্যরা শরণখোলা রেঞ্জের সুখপাড়ারচর এলাকায় অবস্থান করছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ওই এলাকায় অভিযান চালায়। দস্যুরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেলে তাদের উপর গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় ৪০ মিনিট বন্দুকযুদ্ধ চলে। একপর্যায়ে জলদস্যুরা পিছু হটে বনের গহিনে চলে যায়।
‘সকাল ৮টা ৪০ মিনিট থেকে ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। পরে র্যাব সদস্যরা সেখানে তল্লাশি চালিয়ে তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেন। আশপাশের নদী-খালে মাছ ধরা জেলেরা এসে নিহত তিনজনকে সুমন বাহিনীর সদস্য বলে শনাক্ত করেন।’
সুমন নামে এক যুবক নিজ নামে বাহিনী গড়ে তুলে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল বলে জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
এরআগে, গত মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে শরণখোলা রেঞ্জের শ্যালা নদীর মোহনায় নৌ-পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ফরিদ (৩৮) নামে এক যুবক নিহত হন। পুলিশের দাবি, ফরিদ বনদস্যু ‘ছোট বাহিনীর’ সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
এজি//এসআই/বিআই/১১ জানুয়ারি, ২০১৮