স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত চারজন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কে ফকিরহাট উপজেলার ধরের ব্রিজ ও সদর উপজেলার বারাকপুর এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় হতাহতে এই ঘটনা ঘটে।
ভোরে ধরের ব্রিজের ওঠার মুখে বাসের ধাক্কায় পিকআপভ্যান উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পিকআপের চালক ও তাঁর সহকারী। পুলিশ জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া সদর উপজেলার বারাকপুর এলাকায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক চালক নিহত হন।
পুলিশ জানায়, ফকিরহাটের দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাট সদরের দেপাড়া এলাকার সেকেন্দার হালদারের ছেলে মিজানুর হালদার (৩০) ও কোড়ামারা গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে আল-আমিন শেখ (২৮)। তাঁরা দুজনই গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
আর বারাকপুরে নিহত ব্যক্তি হলেন হানিফ পরিবহনের চালক মো. মুকুল (৫০)। তাঁর বাড়ি রংপুরে।
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জামাল শেখ বলেন, বাগেরহাট থেকে কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী গরু আনতে পিকআপভ্যানে করে যশোর যাচ্ছিল। ভোরে ঘন কুয়াশার মধ্যে পিকআপটি মহাসড়কের ফকিরহাটে ধরের ব্রিজে ওঠার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের সঙ্গে ধাক্কা খায়। বাসটি ব্রিজ থেকে নামছিল।
বাসের ধাক্কায় এসময় পিকআপটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং এর আরোহীরা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-আমিন ও মিজানুরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়কের বারাকপুর এলাকায় বাগেরহাট থেকে ঢাকাগামী মিমজাল পরিবহনের সঙ্গে হানিফ পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হানিফ পরিবহনের চালক মুকুল নিহত হন।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) সরদার মাসুদুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মিমজাল পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পরিবহনের চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।
তাঁদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মুকুলকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অপর দুজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এইচ//এসআই/বিআই/১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭