স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের চিতলমারীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তির বাড়ি আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের আড়ুলিয়া গ্রামে মঙ্গলবার দিনগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ঝষিকেশ মন্ডলের ঘরে আগুন লাগে। সে সময় ওই ঘরে থাকা ঝষিকেশ মন্ডল ও তার স্ত্রী শেফালি রাণী মন্ডল ঘুমাচ্ছিলেন।
তাদের অভিযোগ, স্থানীয় দুই প্রতিবেশির সাথে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। সেই জেরে ঘরে আগুন দেওয়া হতে পারে।
আগুনে ঝষিকেশ মন্ডলের বসত ঘর ও রান্নাঘর এবং পাশ্ববর্তি সুনীল মন্ডলের একটি রান্নাঘর সম্পূর্ণ ভষ্মিভূত হয়েছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ওই বাড়িতে যান চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু সাঈদ। তিনি ঘর তৈরির জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ওই পরিবারকে চার বান্ডিল ঢেউটিন দিয়েছেন।
ঝষিকেশ মন্ডল বলেন, ‘প্রতিদিনের মত আমি ও আমার স্ত্রী রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কয়েকজন লোক আমার বাড়িতে ঢুকে বাইরে থেকে ঘরে তালা দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন দেখে ঘুম ভাঙলে আমরা দরজা ভেঙে বাইরে আসি। আগুনে আমাদের ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।’
ঘরে থাকা ফ্রিজ, আলমারি, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, নগদ টাকাসহ অন্তত ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়েছে।
তার অভিযোগ, প্রতিবেশি নরেশ গোসাই ও ফারুক শেখের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে তারা আগুন দিতে পারে। এরআগে ওই দুই প্রতিবেশি তাকে পাঁচটি মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে বলেও তার পরিবারে অভিযোগ।
শেফালি রাণীর ভাষ্য, নরেশ ও ফারুক বিভিন্ন সময়ে তাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। তারাই পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে হত্যা করতে আমার ঘরে আগুন দিয়েছে।
বসতঘর পুড়ে যাওয়ায় পরিবারটি বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে থাকছে।
ইউএনও আবু সাঈদ বলেন, ঝষিকেশ মন্ডলকে ঘর তুলতে চার বান্ডিল ঢেউটিন, গাছের গুড়ি এবং শ্রমিক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চিতলামারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনও নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকুল চন্দ্র বলেন, কারা এই বাড়িতে আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এবিষয়ে কথা বলতে নরেশ গোসাই ও ফারুক শেখ-এর বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।
এজি//এসআই/বিআই/১৫ নভেম্বর, ২০১৭