স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। র্যাবের ভাষ্য, নিহত দুজন বনদস্যু ‘আব্বাস বাহিনী’র সদস্য।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কাতলার খাল এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধ হয় বলে র্যাবের দাবি।
নিহতরা হলেন- ইউসুফ ফকির ও রুহুল আমিন। র্যাব বলছে, দুজনই বনদস্যু আব্বাস বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। এদের মধ্যে ইউসুফ ওই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
র্যাব-৮-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, গত প্রায় ১৫ দিন ধরে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় দলছুট কিছু জলদস্যু ও বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা সংগঠিত হয়ে জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছিল। র্যাব তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখে।
বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে বলেশ্বর নদের কাতলার খাল এলাকায় ৮-১০ জনের একটি দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে সুন্দরবনের ওই এলাকায় অভিযানে যায় র্যাব। এ সময় দস্যুরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট থেকে প্রায় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলার একপর্যায়ে বনদস্যুরা বনের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে দুজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ এবং দেশি বিদেশি সাতটি অস্ত্র ও ১২৪টি গুলি উদ্ধার করে।
গোলাগুলি থেমে গেলে আশপাশের খালে মাছ ধরা জেলেরা এসে নিহত দুজনকে বনদস্যু আব্বাস বাহিনীর সদস্য বলে শনাক্ত করে, বলেন তিনি।
এ ঘটনায় বিকালে র্যাব-৮ এর ডিএডি আজিজুল হক বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইন এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শরণখোলা থানায় পৃথম দুটি মামলা করেছেন।
এইচ//এসআই/বিআই/১৫ নভেম্বর, ২০১৭