স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের শাবলের আঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন; আহত হন তার স্ত্রীসহ আরও তিনজন।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এরআগে মঙ্গলবার বিকাল সোয়া তিনটার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের আফরা গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত পল্লব কুমার বসু ওরফে সোনা (৩৫) পেশায় কৃষক। তিনি আফরা গ্রামের স্বপন কুমার বসুর ছেলে।
আহতরা হলেন নিহতের স্ত্রী সুমি রাণী বসু (২৮), ভাবি শিপ্রা রাণী বসু (৩৫) ও চাচা অরুণ বসু (৬০)।
নিহতের বড় ভাই পলাশ কুমার বসু বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, স্থানীয় আব্দুস সামাদ মোড়ল ওরফে সামাদ মাস্টারের সাথে আমাদের বসতবাড়ির পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। মঙ্গলবার ওই জমিতে আমার ছোট ভাই পল্লব বসু সীমানার বেড়া (সীমানা প্রাচীর) মেরামত করছিল।
‘ওই সময় সামাদ মাস্টার ও তার ছেলে আজাদ মোড়ল তাতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আজাদ শাবল দিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে। তার ডাকচিৎকারে বাড়ির অন্যরা এগিয়ে গেলে তাদেরও মারপিট করে দ্রুত চলে যায় আজাদ।’
পরে স্থানীয় প্রতিবেশিদের সহযোগীতায় পল্লব কুমার বসুকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পলাশ কুমার বসু বলেন, সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে তার মাথার অস্ত্রোপচারের সময় আমার ছোট ভাই পল্লব বসু মারা যান।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেন, স্বপন, অমল, বলরাম ও অসীম বসুর (বসু পরিবার) পৈত্রিক জমি নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুস সামাদ মোড়ল ওরফে সামাদ মাস্টারের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাতাব উদ্দিন বলেন, পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার ঘটনায় জড়িতরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।
বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানান ওসি।
এ বিষয়ে জানতে আব্দুস সামাদ মোড়ল ওরফে সামাদ মাস্টারের বাড়িতে গিয়েও ওই পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এইচ//এসআই/বিআই/০৮ নভেম্বর, ২০১৭