সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
পুণ্য স্নানের মধ্য দিয়ে সুন্দরবনের দুবলার চরে তিন দিনব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব শেষ হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার উৎসব শুরু হয়। শনিবার (৪ নভেম্বর) সূর্যোদয়ের আগে কয়েক হাজার পুণ্যর্থী সাগরে স্নান করেন।
প্রতি বছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের আলোরকোলে এই রাস উৎসব শুরু হয়।
উৎসবের সমাপনী দিনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
তিন দিনের এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী, পুরুষ ও দর্শনার্থীসহ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন।
উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে মোট আটটি প্রবেশ দ্বার প্রস্তুত রাখে বনবিভাগ।
প্রবেশ দ্বারগুলো হলো- ঢাংমারী, বগী, কচিখালী, শরণখোলা স্টেশন, বুড়িগোয়ালিনি, কৈখালী, কয়রা কাশিয়াবাদ ও নলিয়ান।
গত ২ নভেম্বর সকাল থেকে এসব স্থানে এসে বনভিাগের অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ শুরু করেন পুণ্যার্থীরা।
রাস উৎসব উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ দে বলেন, সমাপনী দিনে সূর্যোদয়ের আগে সাগরের প্রথম জোয়ারে পুণ্যস্নান করে তাদের মনোবাসনা যেন পূর্ণ হয় তার প্রার্থনা করেন।
“কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্য লাভের আশায় এখানে জড়ো হন। উৎসব চলাকালে এখানে প্রতিদিন পূজা অর্চনা, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান হয়।”
সুন্দরবন বিভাগের বন সংরক্ষক (সিএফ) আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। সরকারের মন্ত্রী, প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ হাজার হাজার পুণ্যার্থী ও পর্যটক উৎসবে অংশ নেন।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, তিনদিনের রাস উৎসবকে ঘিরে সুন্দরবনে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উৎসবে যোগ দিতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ ছিল তৎপর।
এজি//এসআই/বিআই/০৪ নভেম্বর, ২০১৭