স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
ভুয়া দাতা সাজিয়ে বন বিভাগের প্রায় ১০ একর জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে বাগেরহাট জেলা রেজিস্ট্রার ফজলার রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে শহরের বাগেরহাট জেলা রেজিস্ট্রিারের কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় বন বিভাগের জমি অনুমতি ছাড়া বিক্রির রেজিস্ট্রি করার অভিযোগে ২৯ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করে দুদক।
ফজলার রহমানের বাড়ি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ফুচিয়া গ্রামে। গ্রেপ্তারের পর সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ বলেন, ভালুকায় বনবিভাগের সরকারি জমি নিবন্ধনের ঘটনায় পৃথক ৬টি মামলা করেছে দুদক। দুদকের ময়মনসিংহ জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে দায়ের করা ওই মামলাগুলোয় রেজিস্ট্রার ফজলার রহমান, এনটিভি ও রোজা এগ্রো লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মাসুদুর রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ২০১৩ সালে ময়মনসিংহ জেলায় সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ফজলার রহমান ভালুকা উপজেলার বনবিভাগের মালিকানাধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৯ দশমিক ৬৪ একর জমির ভূয়া জমিদাতা, সনাক্তকারী ও দলিল লেখক সাজিয়ে বিক্রি নিবন্ধন (রেজিস্ট্রি) করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু ৬টি দলিলমূলে এক কোটি ২৭ লাখ টাকা মূল্যে তার রোজা এগ্রো লিমিটেডের নামে ওই জমি কিনেন।
‘সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে এ কাজে তিনি স্থানীয় জমির ভূয়া মালিক, দলিল লেখক ও সনাক্তকারী হিসেবে মোট ১১ ব্যক্তিকে রাখেন।’
মাসুদুর রহমান বলেন, বন বিভাগের জমি ভিন্ন নামে নিবন্ধন হওয়ায় তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে দুদক। প্রথমিক তদন্তে সত্যতা মেলায় কমিশনের কাছে রেজিস্ট্রার ফজলার রহমানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করতে অনুমতি চাওয়া হয়। কমিশনের অনুমতি পেলে গত বৃহস্পতিবার ৪০৯/ ৪২০/ ৪৬৭/৪৬৮ ও ৪৭১ দন্ডবিধির দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ সালের ৫/২ ধারায় ভালুকা থানায় পৃথক ছয়টি মামলা করা হয়।
দুদকের খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. মহাতাব উদ্দিন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ভালুকা থানায় দায়ের করা ওই ছয়টি মামলার প্রধান আসামি বাগেরহাট জেলা রেজিস্ট্রার ফজলার রহমান। গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে সন্ধ্যায় তাকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জমির ক্রেতা রোজা এগ্রো লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালুও প্রত্যেক মামলার আসামি। এছাড়া স্থানীয় জমির ভূয়া মালিক, দলিল লেখক ও সনাক্তকারীদের ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা।
এজি//এসআই/বিআই/৩০ অক্টোবর, ২০১৭