স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। দুর্গা পূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, সব সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসব।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ির পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, দশভূজা দেবী দুর্গা অসুর বধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন। সন্তানদের নিয়ে পক্ষকাল পিতার গৃহে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ে। আশ্বিন শুক্লপক্ষের এই ১৫টি দিন দেবীপক্ষ, মর্ত্যলোকে উৎসব।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে শনিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গোৎসবের শেষ হবে। একটি বছরের জন্য ‘দুর্গতিনাশিনী’দেবী ফিরে যাবেন কৈলাসে দেবালয়ে।
শিকদার বাড়ির শারদীয় দূর্গাপূজার মহাষষ্ঠ্যির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। শেখ হাসিনার সরকার এই উৎসবকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
পূজার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করে ভারতের হাই কমিশনার আরও বলেন, “বাংলাদেশে এটা আমার দ্বিতীয় উৎসব। তবে ঢাকার বাইরে কোন দুর্গা উৎসবে আসা এটাই আমার প্রথম। বাগেরহাটের সিকদার বাড়ির দূর্গা উৎসবে আসতে পেরে আমি আনন্দিত।”
বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র মণ্ডল, ভারতীয় দূতাবাসের প্রথম সচিব রাজেশ উকে, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমিত রায়সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাটের শিকদার বাড়িতে ৬৫১টি প্রতিমা নিয়ে দূর্গাপূজা হচ্ছে। আয়োজকদের দাবি, সংখার দিক থেকে এটি দেশের সবচেয়ে বেশি প্রতিমা নিয়ে বড় শারদীয় দূর্গাপূজা।
এজি//এসআই/বিআই/২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭