স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার তিনটি সরকারি দপ্তরের তালা ভেঙে কাগজপত্র তছনছ করা হয়েছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে কার্যালয়ে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপজেলা ভূমি অফিস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস ও সমবায় অফিসের দরজার তালা ভেঙা এবং কাগজপত্র তছনছ অবস্থায় দেখতে পান। সেখানকার আলমারি, ফাইল কেবিনেট ও টেবিলের ড্রয়ারের তালা ভাঙে কাগজপত্র তছনছ করা হয়।
তবে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি দপ্তরগুলোর কোন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, নথি বা টাকা-পয়সা খোয়া যায়নি।
এরআগে চলতি বছরের ২ মার্চ কচুয়া উপজেলা প্রশাসনের ভূমি, শিল্পকলা ও পল্লী দারিদ্র বিমচন ফাউন্ডেশন (বিআরপিবি) কার্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। সেবারও তালা ভেঙে কাগজপত্র তছনছ করা হয়।
৬ মাসের মাথায় আবারও ওই কার্যালয়ের দরজা ভেঙে ভূমি অফিসের ৩টি আলমারি, ২টি টেবিলের ড্রয়ার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের ১টি ফাইল কেবিনেট, ২টি আলমালি ও ২টি টেবিলের ড্রয়ার এবং সমবায় অফিসের একটি ফাইল কেবিনেট ও ২টি আলমারির তালা ভেঙে কাগজ পত্র তছনছ করা হয়।
কচুয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, সকালে এসে দরজার তালা ভাঙা এবং আলমারি ও টেবিলের ড্রয়ারের তালা ভেঙে এলোমেলো দেখি। আমরা কাগজপত্র খুঁজে দেখেছি। চোরেরা কোন কিছু নিতে পারেনি।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসিফুল রহমান বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের তিনটি দপ্তরের তালা ভেঙে চুরির চেষ্টা হয়েছে। আলমারি, ফাইল কেবিনেট ও টেবিলের ড্রয়ারের তালা ভেঙে কাগজপত্র এলোমেলো করেছে। তবে কিছু নেয়নি।’
‘সম্ববত তারা টাকার জন্য এসেছিল। টাকা না পাওয়াতে কিছু নেইনি। প্রাথমিকভাবে আমরা খুঁজে দেখিছি, কোন নথি বা কাগজপত্র খোয়া যায়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা কার্যালয়ে কোন সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা নেই। নৈশপ্রহরী আছে। তবে গত রাতে নৈশপ্রহরীর কক্ষের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো বলে শুনেছি।
ইউএনও বলেন, কিছু খোয়া না যাওয়ায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করিনি। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পুলিশও তাদের মতো তদন্ত করে দেখবেন।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, তিনটি দপ্তরের দরজার তালা ভাঙা হলেও কোন কিছু চুরি হয়নি। ড্রয়ারের কড়া ভাঙছে। এরা ছিচকে চোর হতে পারে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি।
এরআগের চুরির বিষয়ে ওসি বলেন, ওই সময়ে একটি সাধারণ ডায়রি হয়েছিল। তবে কিছু খোয়া না যাওয়ায় তারা পারে আর মামলা করেন নি।
এইচ//এসআই/বিআই/১৩ আগস্ট, ২০১৭