স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের শরণখোলায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও তার তিন বছর বয়সী ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময়ে ২৭ দিন বয়সী আরেক শিশুকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওই গৃহবধূ নিজে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘরে থাকা আরেক শিশু সন্তানকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ি বাজারের একটি বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী অপু কর্মকারের স্ত্রী শম্পা রাণী কর্মকার (২৪) ও বড় ছেলে অরণ্য কর্মকার (৩)।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার অপু-শম্পা দম্পতির ২৭ দিন বয়সী অর্নব কর্মকারকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে উপজেলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আরাফাত শেখ বলেন, সকাল থেকে অপু কর্মকারের বাসায় কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা তাদের বাসার সামনে যান। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তারা জানালা দিয়ে দোতালা বাড়ির উপর তলার একটি কক্ষে গৃহবধূ শম্পাকে রশিতে ঝুলতে দেখে।
‘পরে তারা পুলিশে খবর দিলে আমরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকি। সেখানে খাটের ওপর থেকে শিশু অরণ্য ও রশিতে ঝুলতে থাকা শম্পার মরদেহ উদ্ধার করি। এ সময় এ দম্পতির শিশু সন্তান অর্ণবকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
‘উদ্ধার হওয়া শিশু অর্ণবের গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। তাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
শরণখোলা থানার ওসি মো. আবদুল জলিল বলেন, যে ঘর থেকে মা-ছেলের মরদেহ এবং আরেক শিশুকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, তা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। তাই ছেলেকে হত্যার পর মা নিজেও আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, গৃহকর্তা অপু কর্মকার এ দিন সকাল থেকে বাড়িতে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এজি//এসআই/বিআই/০৮ আগস্ট, ২০১৭