স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি হত্যা, ধর্ষণসহ অন্তত ১১ মামলার আসামি বলে জানিয়েছে র্যাব।
মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর এলাকায় বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কে রোববার রাত ৩টার দিকে গোলাগুলির এ ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
র্যাব জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম মো. হোসাইন শিকদার ওরফে ভিক্টর (৪৫)। তার বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া থানার জয়পুর মোহাম্মদপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের নূরুল হক শিকদারের ছেলে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব ৬-এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কে ঢাকাগামী পরিবহনে ডাকাতি বেড়ে গেছে। ডাকাতি প্রতিরোধে মোল্লাহাটে টহল চৌকি বসানো হয়।
‘রাত ৩টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলকে সেখান থেকে যাবার সময়ে দাঁড়ানোর সিগনাল দিলে তারা না দাড়িয়ে উল্ট র্যাব সদস্যদের দিকে গুলি ছোড়ে। এসময়ে র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে মোটরসাইকেলের পেছন থেকে একজন পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, মোটরসাইকেল দুটিতে ৫ জন আরোহী ছিল। নিহত ভিক্টর রাস্তায় পড়ে গেলেও অন্যরা মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে য়ায়।
র্যাব-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ভিক্টরের কাছে থাকা একটি বিদেশি পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
নিহত হোসাইন শিকদার ওরফে ভিক্টরের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, অপহরণ, রগকাটা সহ বিভিন্ন অভিযোগ অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে। তার বড় ভাই বাবুল শিকদার নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। সেও ২০১২ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হন।
নিজ এলাকা নড়াইলের কালিয়া থানা ছাড়াও খুলনার তেরখাদা থানাসহ বিভিন্ন থানায় এসব মামলা রয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ওসি আ ন ম খায়রুল আনাম বলেন, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় র্যাব-৬ এর উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) শামসুল কবির বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ দুটি মামলা করেছেন।
দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এজি//এসআই/বিআই/৩১ জুলাই, ২০১৭