প্রচ্ছদ / খবর / রামপালে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা

রামপালে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. হামীম নূরীসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
BagerhatNews01.04.13
মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাত ৮/১০ কে আসামি করা হয়েছে। রোববার রাতে নিহত রফিকুলের বাবা শেখ ফজলুর রহমান বাদী হয়ে রামপাল থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেন, রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের পাশে দাউদখালী নদীর পাশে ফজলুর রহমান ড্রাইভার ১০ বিঘা জমিতে একটি মৎস্য ঘের করে আসছিল। ওই ঘেরটি দখলে নিতে আওয়ামী লীগের আশ্রিত সন্ত্রাসীরা মরিয়া হয়ে ওঠে। এক পর্য‍ায়ে গত ২৪ মার্চ দিনগত রাতে মামলার প্রধান আসামি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. হামীম নূরী অন্যান্য আসামিদের নিয়ে বৈঠক করেন।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, বৈঠকে পরিকল্পনা মোতাবেক ২৫ মার্চ বেলা ১১টায় আসামিরা ঘেরটি দখলে নিতে যায়। এ সময় ফজলুর রহমান ও তার ছেলে কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বাঁধা দিলে আসামিরা তাদের লোহার রড, হকিস্টিক ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে আসামি শফিক লোহার শাবল দিয়ে রফিকুলের মাথায় সজোরে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় আসা‍মিরা ঘেরে থাকা মাছ ও মালামাল লুট নেয়।
পরে এলাকাবাসী রফিকুল ও তার বাবা ফজলুকে উদ্ধার করে রামপাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত রফিককে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ দুপুর ২টায় মারা যায় সে।
এ ব্যাপারে রামপাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) এস এম আনোয়ার হোসেন জানান, মামলা দায়ের হয়েছে মামলাটি তিনি নিজেই তদন্ত করবেন। আসামীদের আটকের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না, মামলা দায়েরের পর আসামিদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

About ইনফো ডেস্ক