প্রচ্ছদ / খবর / আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে যুবলীগ নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে যুবলীগ নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম

বাগেরহাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে মো. সোহেল খান (২৭) এক যুবলীগ নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Space
For Advertisement

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সোহেলের স্ত্রী মুন্নী বেগম।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ ও র‌্যাব।

সোহেল খান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়িখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি চিংড়িখালী ইউনিয়নের জামুয়া গ্রামের প্রয়াত জলিল খানের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুন্নী বেগম বলেন, সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে তার স্বামী একটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যান। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে র‌্যাব ও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একদল অস্ত্রধারী তাকে তুলে নিয়ে যায়। সে সময় তারা সোহেলকে মারধরও করে।

সোহেলের স্ত্রীর অভিযোগ, সোহেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে তার সঙ্গে থাকা লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদের অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়। এরপর তাকে কোর্টের (আদালতের) পেছন দিয়ে নিয়ে গিয়ে একটি কালো গ্লাসওয়ালা গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

‘সোহেলের সঙ্গে তার কয়েকজন আত্মীয় ও বন্ধু ছিলেন। তাদের কয়েকজনকেও ওই গাড়িতে তোলা হয়েছিল। মাঝপথে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়।’

এরপর থেকে আমরা বাগেরহাটের বিভিন্ন থানা পুলিশ, ডিবি ও খুলনা র‌্যাব-৬ এর কার্যালয়ে ঘুরেও তার কোনো সন্ধান পাইনি।

মুন্নি বলেন, ‘আমরা তার জীবনের ব্যাপারে শঙ্কিত। পরিবারের সবাই তার জন্য অত্যন্ত চিন্তিত। আমাদের তিন বছর ৫ দিনের শিশু সন্তানটি ওর বাবার জন্য খুব কান্নাকাটি করছে।

সোহেলের বন্ধু নয়ন বক্স বলেন, ‘সোমবার সোহেলের সঙ্গে আমিও আদালতে গেছিলাম। গাড়িতে তোলার আগে তারা সোহেলের হাতে হাতকড়া লাগায়। তাদের কাছে অস্ত্র ছিল। আমাদেরও গাড়িতে তোলা হলেও খুলানার দিকে রওনা ওয়ার পর কিছুদূর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মোজাম বলেন, সোহেল খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় তাকে তিন সপ্তাহ আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ২১ দিনের মধ্যে সেই নোটিশের জবাব না দেওয়ায় তিন দিন আগে তার পদটি স্থগিত করা হয়।

মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম বলেন, সোহেল খান নিখোঁজের ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। সোহেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

সোহেল খানকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করে র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এ এম এম জাহিদুল কবীর বলেন, ‘সোহেলের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছেও তার নিখোঁজ থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর থেকে আমারও তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তার পরিবারের কাছ থেকে সোহেলের ফোন নম্বর নিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমেও তার সন্ধানের চেষ্টা চলছে।’

এইচ//এসআই/বিআই/১৮ জুলাই, ২০১৭

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ