স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাড়ফা গ্রামের একটি বাসা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ জুলাই) সকালে গাড়ফা গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত নারী রাশেদা খানম (৩০) বলে সনাক্ত করেছেন তার বড় ছেলে রাসেল। স্বামী সোহেল আহম্মেদের সঙ্গে চার বছর আগে রাশেদার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সোহেলের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার ধুমছি গ্রামে।
রাশেদা খানম বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের শামসু শেখের মেয়ে। গত ২৭ জুন থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
মোল্লাহাট থানার ওসি আ স ম খায়রুল আনাম বলেন, গাড়ফা গ্রামের জনৈক খন্দকার রেজাউল ইসলামের বাড়ির ভাড়া দেওয়া একটি ঘরের তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় প্রতিবেশিরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, হত্যার পর লাশ ভেতরে রেখে বাইরে থেকে ওই ঘরেব তালা বন্ধ করা হয়েছে।’
ময়নাতদন্তের জন্য রাশেদার মরদেহ দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, রাশেদ খানম গ্রামে গ্রামে ফেরি করে শাড়ি-কাপড় বিক্রি করতেন। মোল্লাহাটের গাড়ফা গ্রামের যে বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেই বাসা ছাড়াও পার্শবর্তি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে তার একটি ভাড়া বাসা আছে। দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ওই বাড়িতে থাকতেন।
ঈদের পরদিন ২৭ জুন বিকালে বাজারে যাবার কথা বলে টুঙ্গিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ভাড়া করা বাড়ি থেকে বের হন রাশেদা। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় কোন জিডি হয়নি বলে জানান ওসি।
এইচ//এসআই/বিআই/০১ জুলাই, ২০১৭