স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাগেরহাটের এক পরিবারের পাঁচজন ও চালকের মৃত্যু হয়েছে; নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ১০টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার গেড়াখোলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন – বাগেরহাটের হালিম আকন (৪০), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫), ছেলে সুজন (১৭) ও শিহাব (৮), শ্যালক বাদশা ফরাজি (৩৭) ও অজ্ঞাতপরিচয় চালক। হালিমসহ নিহত পাঁচজনের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালি ইউনিয়নের খুড়িয়াখালি গ্রামে।
তাদের এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজন হারানোর বেদনায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
কাশিয়ানী থানার ওসি এ কে এম আলীনূর হোসেন বলেন, সেবা গ্রিনলাইনের একটি বাস গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু করে। দুর্ঘটনায় আহত অন্তত ১০ জনকে মকছেদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলেন, মাইক্রোবাসটি বাসের নিচে চাপা পড়েছিল। ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে মাইক্রোবাস ও কয়েকটি লাশ।
দুর্ঘটনায় নিহত হালিমের বড় ভাই মতিয়ার রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, “আমার ভাই হালিম দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব থাকত। ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসছিল।
‘তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও শ্যালক ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে আনতে গিয়েছিল। সেখান থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে তারা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। আমরা পরিবারের সবাই তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। দুর্ঘটনা আমাদের সব কেড়ে নিল।’ বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
সাউথখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, এক পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন ঘটনায় শোক প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই।
এজি//এসআই/বিআই/২৯ জুন, ২০১৭
আরও পড়ুন: ‘মনে হচ্ছিল মারা যাচ্ছি’- ক্রিকেটার রাজ্জাক