স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
ঈদের সালামি মিলেছে বেশ; বন্ধুদের একজন বলে উঠল ‘চল ঘুরে আসি’। ব্যস! ঈদের জামাত শেষে তরুণ দলটি বের হয়ে গেল ঘুরতে। শুধুই তরুণরাই নন, ঈদের দিন সব বয়সী মানুষের পদভারে দিনভর মুখর ছিল বাগেরহাটের বিনোদন কেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে।
বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ, হযরত খানজাহান (রহ:)এর মাজার, দড়াটানা নদী তীরের বাগেরহাট পৌরপার্ক, মুনিগঞ্জ সেতুসহ বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঢল নেমেছিল সব বয়সীদের। আত্মিয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার, প্রিয়জনের সাথে ঘুরে বেড়িয়ে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন সবাই।
ধনী দরিদ্রের ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলে উদযাপন করেছেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনটি।
ঈদের জামাত শেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে ঘুরতে বের হন সামিউল ইসলাম। রাজধানী ঢাকায় বেড়ে ওঠা সামিউল এবার ঈদ করেছে গ্রামের বাড়িতে, বাগেরহাট সদরের মগরা গ্রামে। দিনভর তারা ঘুরে বেড়িয়েছেন ষাটগম্বুজ মসজিদ, মাজার, বারাকপুর সুন্দরবন রিসোর্ট, নৌকায় চড়ে ঘুরেছেন স্নিগ্ধ ভৈরব নদে। বিকেলে বেড়িয়েছেন আত্মিয়দের বাসায়।
সকাল থেকে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল সাড়ে ছয়শ’ বছরের পুরানো হযরত খানজাহান (রহ.) অমর সৃষ্টি ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ও মাজারে। বাগেরহাটের বাইরে বিভিন্ন এলাকা থেকেও হাজার হাজার মানুষ এদিন ঘুরতে আসেন এখানে।
ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সুন্দরবন রিসোর্ট, দশানী পার্ক, চন্দ্রমহল ইকোপার্কে শিশুদের মত বড়রাও মেতে ওঠেন আনন্দে। বিভিন্ন রাইডে চড়ে দারুণ আনন্দ উপভোগ করে শিশুরা।
সুন্দরবন রিসোর্টের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, ঈদের প্রথম দিনেই বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল নেমেছে। সব বয়সের মানুষই আসছেন। তবে সবচেয়ে বেশি আনন্দ করছে শিশুরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ঈদের পুরোছুটিতেই এখানে ব্যাপক মানুষ আনন্দ উপভোগ করবেন।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বাগেরহাট যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদৌস বলেন, সারাবছরই দেশি-বিদেশি পর্যটকরা আসেন বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বাগেরহাট যাদুঘরে। ষাটগম্বুজ মসজিদ কম্পাউন্ড ছাড়াও বাগেরহাটের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখেন তারা।
ঈদের ছুটিতে ষাটগম্বুজসহ বাগেরহাটের পর্যটন স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের সংখ্যা কয়েক গুন বেড়েছে। বাগেরহাটের বাইরে থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী এসেছেন।
এজি//এসআই/বিআই/২৬ জুন, ২০১৭