স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে কথিত বনদস্যু বড়ভাই বাহিনীর প্রধান মোশাররফসহ পাঁচজনকে আটকের কথা জানিয়েছে র্যাব।
বৃহষ্পতিবার (১ জুন) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদী সংলগ্ন জোংড়ার খাল এলাকা থেকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয় বলে জানান র্যাব-৮ এর উপঅধিনায়ক মেজর আদনান কবির।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে তিনটি এক নলা বন্দুক, একটি দোনলা বন্দুক, একটি পয়েন্ট ২২ বোর রাইফেল, একটি কাটা রাইফেল, একটি ওয়ান স্যুটারগান ও ১৯০ টি বিভিন্ন ধরনের গুলি রয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে আটককৃতরা হলেন- বড়ভাই বাহিনীর প্রধান বাগেরহাটের মংলা উপজেলার জয়মনি গ্রামের মোশাররফ কাজী (৩০), একই গ্রামের মো. এনামুল শেখ (২৮), একই উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের মো. সুমন হাওলাদার (২৫), মো. ইয়াছিন মল্লিক (৩২) ও রামপাল উপজেলার দেবিপুর গ্রামের মো. সামাদ মোল্লা (২৮)।
মেজর আদনান কবির বলেন, গত ১১ মাসে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরে চাঁদাবাজি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়া ১২টি জল ও বনদস্যু বাহিনীর ১৩২ জন সদস্য ২৪৭টি দেশি বিদেশি অস্ত্র, ১২ হাজার ৪৯০টি গুলিসহ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
এরমধ্যে সম্প্রতি মোশাররফ কাজী নামে এক যুবক ৮/১০ জনকে নিয়ে বড়ভাই নামে নতুন একটি বাহিনী গড়ে তুলে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল।
সুন্দরবনের জোংড়ার খাল এলাকায় ওই বাহিনী অবস্থান করছে, এমন গোপণ সংবাদে সকাল ১০টার দিকে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। এসময় তারা র্যাবের উপস্থিতি টেরপেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে বড়ভাই বাহিনীর প্রধান মোশাররফসহ পাঁচজনকে আটক করে।
র্যাবের ভাষ্য, আটককৃতরা সবাই ওই দস্যু বাহিনীর সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের মংলা ও খুলনার দাকোপ থানায় চাঁদাবাজি ও অপহরণের একাধিক মামলা রয়েছে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলিসহ আটককৃতদের খুলনার দাকোপ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এজি//এসআই/বিআই/০১ জুন, ২০১৭