স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করছে। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘মোরা’।
সোমবার (২৯ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও ঘনীভূত হয়ে পরবর্তী ১৮ ঘণ্টার মধ্যে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার, কক্সবাজার উপকূল থেকে ৪৯০, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬২০ ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জানান, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা থেকে ক্রম অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর এর নাম হয়েছে ‘মোরা’ (MORA)। এটি থ্যাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত নাম।
এইচ//এসআই/বিআই/২৯ মে, ২০১৭