স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১২ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সাম্প্রতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে অন্ত:সত্ত্বা এক তরুণীর (১৮) সাথে কথিত বিয়ে হয় ওই কিশোরের। যার একদিন পর ওই তরুণী সন্ত্রান প্রবস করে।
ঘটনাটি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আসার পর রোববার (২৮ মে) দুপুরে ওই তরুণীর বাবা বাদি হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় ধর্ষণের মামলা করেছে। যাতে আসামি করা হয়েছে ৫ম শ্রেণির ছাত্র ওই কিশোরকে।
তার বাড়ি মোরেলগঞ্জ উপজেলায়। ওই তরুণীর বাড়িও একই এলাকায়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কাজি ডেকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাচ্চু ওই দুজনের দিয়ে দিয়েছিলেন। যার একদিন পর শুক্রবার রাতে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন তরুণী।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি সামাজিক ভাবে সমাধানের জন্য চেয়ারম্যানের নির্দশে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের একদিন পর সন্তান প্রসবের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে মেয়ের বাবা মামলা করেন।
তবে মামলা হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই কিশোর। তার বাবা বলছেন, ‘এটিই ভালো হয়েছে। আমার ছেলে যদি বিচারে দোষী হয় তাহলে আমরা তা মেনে নেব।’
প্রথম থেকেই ওই কিশোর ও তার পরিবার দাবি করছেন, অন্যের দোষ তাদের উপর চাপানো হচ্ছে।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল আলম বলেন, তরুণীর বাবা মামলা করেছেন। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। সংশ্লিষ্টদের ডিএনএ টেস্ট করানো হবে।
মামলার আসামি একজন কিশোর। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মাসুম//এসআই/বিআই/২৮ মে, ২০১৭