মশিউর রহমান মাসুম | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রের সাথে বিয়ে পড়ানোর একদিন পরই সন্তান প্রসব করেছেন কথিত স্ত্রী।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেনের তিনি। এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বাসভবনে ডেকে ৯ মাসের অন্ত:সত্ত্বা ওই তরুণীর (১৮) সাঙ্গে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রের (১২) বিয়ে দেওয়া হয়।
তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে না পারায় বিয়ের কাবিন নামা বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কাজী আলতাফ হোসেন।
এদিকে বিয়ের একদিনের মাথায় সন্তান প্রসবের খবর ছড়িয়ে গেলে শনিবার সকালে নবজাতককে দেখার ভিড় করেন অনেকে।
তবে কথিত বিয়ের বর ওই ছাত্র মেনে নিতে পারছেন না সন্তানকে।
পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রের দিনমজুর বাবা বলেন, আমরা গরীব। মামলা চালানোর সামর্থ নেই। তাই স্থানীয় লোকজন ও চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই বিয়ে মেনে নিয়েছি।
প্রায় দুই মাস আগে একটি সালিশ বৈঠকে আমার কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন ইউপি সদস্য মো. আলম মৃধা। ওই টাকা দিতে না পারায় অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণীকে আমার শিশু ছেলের সাথে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণীর সাথে উপজেলার গুলিশাখালী ফাজিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রের বিয়ে দেওয়া হয়। নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাচ্চুর নির্দেশে কাজী ডেকে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে দেয়া হয়। কাবিন নামায় স্বাক্ষরও নেয়া হয়।
তবে বিয়ে দিতে যাওয়া কাজী আলতাফ হোসেন বলেন, আমার দপ্তরের ২৬ নম্বর রেজিষ্ট্রারের ৯৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ওই বিয়ের তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করা হয়েছিলো। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে না পারায় ওই কাবিন নামা বাতিল করা হয়েছে।
মাসুম//এসআই/বিআই/২৬ মে, ২০১৭