সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে ধানসাগর স্টেশনের নাংলি টহল ফাঁড়ি এলাকায় লাগা আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। তবে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস।
আগুন যাতে নতুন করে আর ছড়াতে না পারে, সে জন্য নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলা এলাকার প্রায় পৌনে পাঁচ একর এলাকাজুড়ে ফায়ার লাইন (অগভীর নালা) কাটা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে বনের ওই এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখে বনকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েক শ মানুষ কলস-বালতি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন। গতকাল দুপুর থেকে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। আগুন এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নতুন করে আর কোনো এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান সরদার বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে গতকাল দুপুর থেকে বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট কাজ করছে। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে এবার বন বিভাগ স্থানীয় লোকজন নিয়ে প্রথম থেকেই ফায়ার লাইন তৈরি শুরু করে। প্রায় ৪ দশমিক ৭ একর এলাকাজুড়ে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি দিয়ে ফায়ার লাইন ভিজিয়ে দিয়েছেন।
মাসুদুর রহমান সরদার আরও বলেন, এখনো বিক্ষিপ্তভাবে ফায়ার লাইনের ভেতর ধোঁয়া রয়েছে। সেটি পুরোপুরিভাবে নেভানোর কাজ চলছে।
বন বিভাগ জানায়, গতকাল সকালে ধানসাগর স্টেশনের নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডুলী দেখা যায়। এর আগে গত বছরের ২৭ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনভুক্ত নাংলি ক্যাম্পসংলগ্ন পচাকোড়ালিয়া, টেংরা ও তুলাতুলী বিলের মিঠা পানির মাছ আহরণ ও জাল পাতার স্থানগুলো পরিষ্কার করতে দুর্বৃত্তরা অন্তত চার থেকে পাঁচ দফায় পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগ করে।
ডিএফও সাইদুল ইসলাম জানান, আগুনের কারণ অনুসন্ধানে চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মেহেদীজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে কমিটি কাজ শুরু করবে। তাদের প্রতিবেদন পেলে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
এসিএফ মেহেদীজ্জামান আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। নাশকতা কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি বলেন, বনের যে অংশে আগুন লেগেছে, সেখানে বড় কোনো গাছ নেই। গেওয়া, বলা ও সিংড়াসহ লতাগুল্মজাতীয় গাছ রয়েছে।
এইচ//এসআই/বিআই/২৭ মে, ২০১৭