মশিউর রহমান মাসুম | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের (১২) সঙ্গে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীর জোর পূর্বক বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু তার বাড়িতে কাজী ডেকে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে ওই বিয়ের ব্যবস্থা করেন।
বিয়ের বর স্থানীয় গুলিশাখালী ফাজিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্র। কনে বয়সে তার চেয়ে অন্তত ৬ বছরের বড় এবং ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
জানা যায়, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের উমাজুড়ি গ্রামের ওই ছাত্রের বর্তমান বয়স ১২ বছর। ৯ মাস আগে তার বয়স ছিল ১১ বছর।
ওই সময়ই নাকি তার সঙ্গে মেলামেশায় ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। যার সামাজিক সমাধান করতে তাদের বিয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান।
স্থানীয়দের ভাষ্য, মেয়েটি বর্তমানে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাজী মো. আলতাফ হোসেন ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে পড়িয়েছেন।
চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বলেন, ‘ছেলে এবং মেয়ে উভয়ে খুব গরীব। দু’জনের সম্পর্কের কারণে ওই মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে, তাই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিয়ে পড়ানোর অনুমতি দিয়েছেন’।
তবে বিষটি সম্পর্কে জানতে চাইলে কাজী আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমাকে চেয়ারম্যান তার বাসায় ডেকে নিয়েছিলেন। ছেলের বিয়ের বয়স হয়নি। তার জন্মসনদও দিতে পারেনি, তাই বিয়ে পড়াইনি। তবে তাদের নিকট থেকে চেয়ারম্যান সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমার রেজিষ্ট্রারে কোন স্বাক্ষর করানো হয়নি’।
এদিকে ‘বর’ পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্র শুক্রবার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাইঝি সম্পর্কের ওই মেয়ের কাছে অনেকে আসা যাওয়া করতো। আমি এরকম ৭/৮ জনকে চিনি। এখন ঘটনাটি অন্যায়ভাবে আমার উপর চাপানো হয়েছে। সোনিয়ার গর্ভের সন্তানের দায় আমি কেন নেব? আমিতো লেখাপড়া করছি’।
রহস্যজনক এই বিয়ে নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মাসুম//এসআই/বিআই/২৬ মে, ২০১৭