স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভাতার টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠা বাগেরহাটের সেই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২২ মে) দুপুরে বাগেরহাটের মূখ্য বিচারিক হাকিম মো. জিয়া হায়দার এ নির্দেশ দেন।
আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শমসের আলী ২০১৬ সালের ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়ন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
ইউনিয়নের বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা টাকা বিতরণের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুই মাস আগে সমাজসেবা অধিদপ্তর ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি তদন্ত করছে।
শেখ শমসের আলী বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আদালত সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে শমসের আলী (৫৩) আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিন চান। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
তবে শুরু থেকেই ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী।
গত ১৯ মার্চ বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের ৯৭৭ জন বয়ষ্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ভাতার টাকা বিতরণের সময় দুইশ থেকে তিনশ টাকা করে জোরপূর্বক কেটে রাখার অভিযোগ ওঠে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ২০ মার্চ “দুস্থ ভাতার টাকায় ভাগ নিলেন চেয়ারম্যান, অত:পর…” শিরোনামে ভিডিওসহ একটি সংবাদ প্রকাশ করে বাগেরহাট ইনফো ডটকম। পরবর্তিতে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বিষয়টি তদন্তে নেমে অভিযোগের সত্যতা প্রায় উপজেলা প্রশাসন। যার প্রেক্ষিতে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং মামলা দায়েরের সুপারিশ করে প্রশাসন।
এর মাঝে জরুরী সভা করে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলামকে আগামী তিন মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে ছুটিতে যান শেখ শমসের আলী।
চেয়াম্যানের আইনজীবী বাহাদুর ইসলাম ও শাহী আলম বাচ্চু বলেন, গত ২৬ মার্চ বাগেরহাট সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল মোকাররম মো. ফজলে এলাহী বাদী হয়ে গোটাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ শেখ শমসের আলীর বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আমার মক্কেলকে উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুয়ায়ী ছয় সপ্তাহ পরে নিন্ম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করতে বলা হয়। সেই অনুয়ায়ী সোমবার দুপুরে আমার মক্কেল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন চাইলে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এজি//এসআই/বিআই/২২ মে, ২০১৭
** ভাতা বিতরণে অনিয়ম: চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
** সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে প্রশাসন
** দুস্থ ভাতার টাকায় ভাগ নিলেন চেয়ারম্যান, অত:পর…