আহাদ হায়দার ও অলীপ ঘটক:
বাগেরহাটের মংলায় ছাত্র ও যুবলীগের হামলায় জামায়াতের অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে মংলা পৌর জামায়াতের সংবর্ধনা ও কর্মী সমাবেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মংলা পৌরসভার মংলা কলেজ মোড়, কুমারখালী ব্রীজ ও মিঞাপাড়া এলাকায় জামায়াত কর্মীরা হামলার শিকার হন। এই ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জামায়াতে ইসলামীর তন্তত ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। জামায়াতে ইসলাম এই হামলার জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্ম দের দায়ী করেছে।
আহতদের মধ্যে তিন জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন খলিল, লুৎফর ও আবুল। তাদের মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৫ জনের নাম জানা গেছে এরা হলেন, মংলা উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমির মোকলেছুর রহমান, নায়েবে আমির মাষ্টার সেকেন্দার আলী, মংলা ইসলামী আদর্শ একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান, শিক্ষক মওলানা বেলাল হোসেন ও ঐ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আব্দুল আউয়াল।
জামায়াত ইসলামীর মংলা পৌর সেক্রেটারী ইদ্রিস আলী সন্ধ্যায় বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, জামায়াত ইসলামীর বাগেরহাট জেলা সেক্রেটারী অ্যাড. শেখ আব্দুল ওয়াদুদের কারামুক্তি উপলক্ষে মংলা ইসলামী আদর্শ একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিকেলে স্থানীয় জামায়াত ইসলামী এক সংবর্ধনা ও কর্মী সমাবেশ আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে নেতা-কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মংলা পৌরসভার পৃথক তিনটি স্থানে তাদের বহন করা নছিমনে হামলা চালিয়ে অন্তত ২০ নেতা-কর্মীকে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনিরুল গিয়াস বাগেরহাট ইনফোকে জানান, সন্ধ্যায় পৌর এলাকায় কয়েকটি স্থানে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা জামায়াতের আমীরসহ বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে।
তবে আটকদের প্রকৃত সংখ্যা তনই নির্দিষ্ট করে নিশ্চিত করতে পারেনি তিনি।
এ ব্যাপারে পৃথক ভাবে মংলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: ইব্রাহিম হোসেন ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ইকবাল হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ঘটনার পর থেকে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।