স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক স্কুলশিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল আলম।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের পুরাতন থানার ঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওসির কাছে থাকা ওয়্যারলেস পড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এসি লাহা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক ফারুক হোসেনকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসি লাহা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো. দুলাল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ‘আমার বাড়ি মোরেলগঞ্জ পুরাতন থানার ঘাটের কাছে। সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাই আমাদের স্কুলের এক শিক্ষককে ওসি মারধর করছেন। সেখানে ছুটে গিয়ে দেখি ওসি সাহেব সবার সামনে ঘাটের কাছে শিক্ষক ফারুক হোসেনকে গালাগাল ও মারধর করছেন। একপর্যায়ে ওসি তাঁকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে পুরাতন থানা ভবনে নিয়ে যান।’
শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, ‘স্কুল ছুটির দিনে আমি গ্রামের বাড়ি উপজেলার কালিকাবাড়িতে যাচ্ছিলাম। পথে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আমি থানা ঘাটের খেয়া ধরতে দ্রুত হেঁটে যাচ্ছিলাম। এ সময় ওই পথে ওসি সাহেবের সঙ্গে অসাবধানতাবশত আমার ধাক্কা লাগে এবং তাঁর হাতে থাকা ওয়্যারলেস সেটটি পড়ে যায়। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে গালাগাল করতে থাকেন। এ সময় আমি তাঁর কাছে গেলে তিনি আমাকে চড়থাপ্পড় দিতে দিতে পুরাতন থানা ভবনে নিয়ে যান।’
‘আমি তাঁকে শিক্ষক পরিচয় দিলে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে আবারও মারধর করেন। এ সময় জামায়াত বলে গালাগাল করে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন ওসি সাহেব।’
তিনি আরও বলেন, পরে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইব্রাহিম হাওলাদারের কাছে আমার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাঁর অনুরোধে আমাকে ছেড়ে দেন ওসি সাহেব।
ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, ‘আমার সঙ্গে এ বিষয়ে ওসি সাহেবের কথা হয়েছে। শনিবার স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে করণীয় ঠিক করা হবে।’
ওসি মো. রাশেদুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি সেখানে পুলিশের পোশাকে দায়িত্বরত ছিলাম। ওই শিক্ষক আমাকে ধাক্কা দিলে আমার ওয়্যারলেস পড়ে যায়। তখন আমি তাঁকে ডাকলে তিনি শিক্ষক পরিচয় দিলে আমি তাঁকে ছেড়ে দিই।’
এজি/এইচ/এসআই/বিআই/৩১ মার্চ, ২০১৭