মংলা বন্দরে আমদানি করা হয়েছে বিশ্বমানের অবকাঠামো শিল্পের কাঁচামাল গর্জন কাঠ।
প্রথমবারের মত মংলা বন্দর দিয়ে আমদানী করা হয়েছে বিশ্বমানের নির্মাণ শিল্পের কাঁচামাল গর্জন কাঠের লগ। বুধবার সকালে বন্দর জেটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদেশী জাহাজ থেকে এ কাঠের লগ খালাস কাজ প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ হাবিবুন নাহার।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের বার্মা পোর্ট থেকে প্রায় ১৬শ মে: টন গর্জন কাঠ নিয়ে বুধবার এই প্রথম মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়ে ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ আই টি টি পোমা জাহাজটি। এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান, স্থানীয় সাংসদ ও বন্দর ব্যবহারকরীরা জাহাজটিকে স্বাগত জানিয়ে কাঠ খালাসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
পরে আমদানীকারক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে স্থানীয় সাংসদ হাবিবুন নাহার বলেন, মহাজোট সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ বন্দর উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মংলা বন্দরের উপর আন্তরিক তাই এ সরকারের আমলেই বন্দরের ড্রেজিং কাজ শুরু হবে।
কাঠ আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মজিবুর টিম্বার এন্ড সমিল’র মালিক মো: মজিবুর রহমান জানান, জাহাজ ও নির্মাণ শিল্প এবং ফার্নিচারসহ বিভিন্ন কাজে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয় গর্জন কাঠ। এ বন্দর দিয়ে কাঠ আমদানীতে বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা অব্যাহত থাকলে দিনকে দিন কাঠ আমদানীর পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে প্রতিমাসে দু’টি জাহাজে করে প্রায় দেড় লক্ষ ঘনফুট গাছ আমদানী করা হবে।
কাঠ নিয়ে মংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে একটি জাহাজ ভিড়েছে যা এ বন্দরের জন্য একটি অভাবনীয় সাফল্য উল্ল্যেখ করে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এম হাবিবুর রহমান ভূইয়া বলেন, আগামীতেও কাঠের জাহাজ এ বন্দরে আসবে এবং যে ধরণের সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন তা বন্দরে বিদ্যমান রয়েছে।
বন্দর ব্যবহারকারী ও খুলনা ট্রেডার্সের মালিক সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম বন্দরে নানা ভোগান্তির এবং চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের দির্ঘ্য যানজটের কারণে কাঠ ব্যবসায়ীরা এখন মংলা বন্দর বেছে নিয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মংলা বন্দর ও কাঠের জাহাজ সম্পর্কে প্রতিকূলে কথা বলায় কাঠ আমদানীকারকরা মংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
তিনি জানান, বর্তমানে এ বন্দরে যে সুযোগ সুবিধা রয়েছে তাতে প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার মে: টন কাঠ এ বন্দর দিয়ে খালাস করা সম্ভব হবে।