স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন সোমবার (৬ মার্চ)।
২০১৬ সালে প্রথম দিকে আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান সাবুল আক্তারের মৃত্যুতে এই পদটি শূন্য হয়। এর পর ১ ফেব্রুয়ারি এই শূন্য পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির মোট ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে সাধারণ ভোটারটা বলছেন ভোটের মাঠে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে।
শনিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার সময়। রোববার (৫ মার্চ) সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠাতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। শেষ হয়েছে অন্যান্য প্রস্তুতিও।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলা জুড়ে চার স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে বিএনপি বলছে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তারা সঙ্কিত।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে ১৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (এরশাদ) তিন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৮ হাজার ৫৬৫ জন।
শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসা বিএনপিদলীয় প্রার্থী মো. বদিউজ্জামান খান বলেন, ‘এখানে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকে প্রচার–প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে আমরা যাদের এজেন্ট দিয়েছি তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি ও ভয়ভিতি দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় আমি নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সঙ্কিত।’
তিনি আরও বলেন, সরকারি দলের বাধার কারণে চিংড়াখালী, বারইখালি, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নসহ পৌরসভার ভোটারদের কাছে যেতে পারিনি। নির্বাচন কমিশন এখানে একেবারেই নির্বিকার রয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাবুল আক্তারের স্ত্রী ফাহিমা খনম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে না পেরে বিএনপি এখন বিভিন্ন গল্প বানাচ্ছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র অধিকারী বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া কোনো প্রার্থী প্রচারণায় বাধা দিয়েছেন বা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন—এমন কোনো অভিযোগ পাননি।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকার্তা ও উপনির্বাচনের রিটার্নীং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, নির্বাচনের উপজেলার ১০৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে কেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি, টহল টিম ও চেক পোস্ট রাখা হচ্ছে।
পাশাপাশি ঝুকিপূর্ণ ও অধিক ঝুকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এইচ/এসআই/বিআই/০৫ মার্চ, ২০১৭