স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি আব্দুল আলী মোল্লাকে (৭৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে বাগেরহাটের কচুয়া থানা পুলিশ আব্দুল আলীকে তার উদানখালি গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
আব্দুল আলী কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের উদানখালি গ্রামের প্রয়াত হোসেন উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি বাগেরহাটের ১৪ রাজাকারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার আসামি।
মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাগেরহাটের চার যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আব্দুল আলী ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ সকালে একই এলাকার উকিল উদ্দিন মাঝিকে বাড়ি থেকে ধরে উদানখালী কাঠেরপুলের উপর নিয়ে নির্যাতন করে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, এ ঘটনার প্রায় চার দশক পর ২০০৯ সালের ২৮ জুন উকিল উদ্দিন মাঝির স্ত্রী ফতেমা বেগম বাদী হয়ে কচুয়া থানায় চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি তদন্ত করে।
“তাদের প্রাথমিক তদন্তে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলায় সংশ্লিষ্ট আদালতে এই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চায়। শুনানি শেষে ট্রাইবুন্যাল ওই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়।
“পরোয়ানা হাতে পেয়ে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। আব্দুল আলীকে রাতেই ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে পাঠানো হয়েছে।”
এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে যুদ্ধাপরাধের মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরা হলেন- খাঁন আকরাম হোসেন (৬০), শেখ মোহাম্মদ উকিল উদ্দিন (৬২), ইদ্রিস আলী মোল্লা (৬৪) ও মো. মকবুল মোল্লা (৭৯)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন ২০১৫ সালের ০৪ জুন থেকে রোববার (২২ জানুয়রি) পর্যন্ত তদন্তকাজ সম্পন্ন করে সাতটি ভলিউমে মোট ১ হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি তৈরি করেন।
মোট ৬১ জন সাক্ষী দেবেন ১৪ আসামির বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে ৫৭ জন ঘটনার সাক্ষী, তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং ৩ জন জব্দ তালিকার সাক্ষী।
এজি/এসআই/বিআই/২৫ জানুয়ারি, ২০১৭