স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার সঙ্গে সড়ক পথে বাগেরহাটসহ সারাদেশের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মোরেলগঞ্জ ফেরি। পানগুছি নদীর এ ফেরি পারাপারে দীর্ঘদিন ধরে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আসছে ইজারাদার।
ফেরিতে গাড়ি পার করতে সড়ক বিভাগের নিয়োজকৃত ঠিকাদারের ইজারাদার গাড়ি প্রতি সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও ১০০ থেকে সর্বচ্চ ১৭০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আদায় করছিলো।
খবর পেয়ে রবিবার (২২ জনুয়ারি) বিকালে অভিযান চালিয়ে ফেরির টোল আদায়কারীকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিম উদ্দিন।
মোরেলগঞ্জ ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা দূরপাল্লার পরিবহন ও বাস চালকেরা অভিযোগ করেন, ফেরি পারাপারে প্রতিটি যাত্রীবাহী বাসের কাছ থেকে ১০০-১৭০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নেওয়ার হয়।
বিআরটিসি বাসের চালক আবুল কাসেম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, এক মাস হলো রায়েন্দা (শরণখোলা) থেকে ঢাকা পর্যন্ত আমাদের বাস সর্ভিস চালু হয়েছে। প্রতিদিনই এই রুটে চলতে হয়। মোরেলগঞ্জ ফেরিতে সবসময় নির্ধারিত টাকার চেয়ে আরও একশ থেকে একশ সত্তর টাকা দিতে হয়। এছাড়া বাস প্রতি আরও কুড়ি থেকে পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত বকশিস না দিলে গাড়ি পার করেনা তারা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিম উদ্দিন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, অভিযানকালে অতিরিক্ত আর্থ আদায়ের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোরেলগঞ্জ ফেরির টোল (খাজনা) আদায়কারী মো. আবুল কালাম সিকদারকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাথে আগামীতে এমন অপরাধে না জড়ানোর জন্যও সতর্ক করা হয় ফেরির টোল আদায় কারিকে।
এদিকে, ফেরি পারাপারে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্তে অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এই প্রথে যাতায়েত করা গাড়ির মালিক ও চালকেরা। তবে আগামীতে আবারও যেন অতিরিক্ত টাকা দিতে না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে কর্তিপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।
এইচ/এসআই/বিআই/২২ জানুয়ারি, ২০১৭