স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
পটুয়াখালির কুয়াকাটায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করা সুন্দরবনের ১২ দস্যুকে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে মংলা থানা পুলিশ আসামিদের বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিকের আদালতে হাজির করলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা রাখাইন মার্কেট মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে নোয়া বাহিনীর প্রধান বাকি বিল্লাহ ওরফে নোয়া ও তার ১২ সহযোগী। এসময় তারা দেশি-বিদেশি ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক হাজার ১০৫ টি গুলি জমা দেন।
শনিবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-৮) উপ-সহকারি পরিচালক (ডিএডি) জিয়াউল হক অস্ত্র আইনে মংলা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে শনিবার রাতে আসামিদের বাগেরহাটের মংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন- বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা নোয়া বাহিনীর প্রধান বাকি বিল্লাহ ওরফে নোয়া মিয়া (৩৭), মো. মনিরুল শেখ (৩৮), মো. মানজুর মোল্লা রাঙ্গা (৪২), মো. মুক্ত শেখ (৩৭), মো. তরিকুল শেখ (৬০), মো. আকবর শেখ (৪২), মো. কিবরিয়া মোড়ল (৪০), মো. জাহাঙ্গীর শেখ ওরফে মেজ ভাই (৪৮), মো. ইউনুস শেখ ওরফে দুলাল ঠাকুর (৪০), মো. মিলাদুল মোল্লা ওরফে কালু ডাকাত (২৮), মো. মোশারেফ হোসেন (৩৭) ও মো. আল আমিন সিকদার (৫০)।
গত বছরের ৩১ মে থেকে এ পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য এ নোয়া বাহিনীসহ সুন্দরবনের ৮টি দস্যুবাহিনীর ৭৬ দস্যু র্যাব-০৮ এর মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই এখন জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
এইচ/এসআই/বিআই/০৮ জানুয়ারি, ২০১৭