স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গিদের জঙ্গি হিসেবেই দেখি। কে কোন দলের তা বিবেচ্য নয়।’
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘জঙ্গিদের শক্তি আমারা ভেঙে দিয়েছি। তারা অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় আছে। জনগণের সম্পৃক্ততায় অল্প সময়ের মধ্যে আমরা তাদের নির্মূল করতে সক্ষম হব।’
খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ও জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জঙ্গিরা কোন বিশেষ ধর্মের লোককে মারেনা। তারা মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান সবাইকে হত্যা করছে। জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের নতুন চ্যালেঞ্জ।
“আমাদের পুলিশ জনগণের পুলিশ। কমিউনিটি পুলিশ কমিউনিটি নিয়ে কাজ করবে। শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, মৎসজীবী প্রতিটি কমিউনিটি নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে সমাজে অপরাধ ও অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।”
জনগণকে উদ্দেশ্য তিনি বলেন, “থানার দালাল তাড়াতে হলে পুলিশের সাথে আপনাদের দূরত্ব কমাতে হবে। দালাল তাড়ানোর দায়িত্ব নিতে হবে আপনাদের।’
সমাবেশে পুলিশ প্রধান বলেন, ব্রিটিশ ও পাকিস্থানি আমালে পুলিশ ও জনগনের মাঝে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যেমে আমরা সেই দূরত্ব কমিয়ে আস্তা ও বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করতে স্বক্ষম হয়েছি।
‘মাদকের সাথে অপরাধের সম্পৃক্ততা’ উল্লেখ করে এ কে এম শহীদুল হক বলেন, শিশুকাল থেকে আমাদের সন্তানদের মাঝে মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরতে হবে। যাতে তারা কখনোই বিপথগামী না হয়। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, বাগেরহাটে পুলিশিং কমিটির সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনার বিভাগী কমিশনার মো. আবদুস সামাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন – ২০২১ এবং ভিশন – ২০৪১ লক্ষ্য অর্জনের জন্য দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিতে পুলিশং কার্যক্রম এবং কমিউনিটি পুলিশং কার্যক্রকে এগিয়ে নিতে হবে। উন্নয়ের পূর্ব শর্ত শন্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। এ জন্য এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে।
আমাদের সমাজে কেউ যেন ক্ষুদা ও দারিদ্রতার কারনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতি লক্ষ রেখে আমরা সবাই দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি।
সমাবেশে খুলনা রেঞ্জের ১০ জেলার পুলিশ সুপার, বাগেরহাটের নয়টি উপজেলার কমিউনিটি পুলিশিং ইউনিটগুলো ছাড়াও পার্শবর্তী জেলার কমিউনিটি পুলিশ, জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেয়।
আইএইচ/এসআই/বিআই/০৮ ডিসেম্বর, ২০১৬