স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দু’জন নিহত হয়েছে। আল-আমিন ও হোসেন মোল্লা নামে নিহত দু’জন সুন্দরবনের দস্যু বলে দাবি র্যাবের।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুধমুখী ফরেস্ট ক্যাম্প সংলগ্ন বাদামতলী খালে বন্দুকযুদ্ধের পর তল্লাশিকালে দু’জনের মরদেহ এবং ১১টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২২৭টি বিভিন্ন ধরনের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে বলে র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার র্যাব-৮ এর একটি দল সুন্দরবনের দুধমুখী এলাকায় দস্যু বিরোধী অভিযানে যায়। সকাল সোয়া ৮টার দিকে র্যাব সদস্যরা বাদামতলী খালে পৌঁছালে দস্যুরা তাদের বোটকে জেলে ট্রলার মনে করে অপহরণের উদ্দেশ্যে আটকাতে চেষ্টা করে। পরে বুঝতে পেরে দস্যুরা গুলি চালানো শুরু করলে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় আধাঘণ্টা গোলাগুলির এক পর্যায়ে বনদস্যুরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে র্যাব সদস্যরা দুই জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ এবং অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
মেজর কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, “স্থানীয় জেলেরা গুলিবিদ্ধ দুই জনের লাশ দেখে তাদের শামসু বাহিনীর সদস্য হিসেবে শনাক্ত করেছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।”
উদ্ধারকৃত অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- দুটি দোনলা বন্দুক, চারটি একনলা বিদেশী বন্দুক, একটি দশমিক ২২ বোরের বিদেশী রাইফেল, দুটি এয়ারগান, দুটি দেশী বন্দুক, দশমিক ১২ বোর রাইফেলের ৩০টি গুলি, দশমিক ২২ বোর রাইফেলের ৫০টি গুলি, ৯৬টি এয়ারগানের পিলেট এবং বন্দুকের ব্যবহুত গুলির খোসা ৫১টি।
এছাড়াও ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে র্যাব দস্যুদের ব্যবহার করা ব্যাটারিসহ সোলার প্যানেল, চাঁদার টোকেন, কাপড় ও রসদ সামগ্রী উদ্ধার করে বলে র্যাব জানান।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বিকালে নিহত দস্যুদের লাশ এবং অস্ত্র ও গুলি থানা-পুলিশে হস্তান্তর করে র্যাব-৮ এর উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিহতদের লাশের ময়না তদন্ত করা হবে।
এজি/এসআই/বিআই/০৭ ডিসেম্বর, ২০১৬/আপডেট