চিফ নিউজ এডিটর | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
সুন্দরবনে পর্যটকবাহী (ট্যুরিস্ট) লঞ্চে লাগা আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি; লঞ্চে থাকা যাত্রী ও ক্রুরা সবাই নিরাপদে আছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ‘পেলিকেন-১’ নামে ওই লঞ্চের আগুন পুরোপুরি নেভানো গেছে বলে জানান সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম।
বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বনের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবারিয়া এলাকায় পেলিকেন-১ নামে একটি ট্যুরিস্ট লঞ্চে আগুন লাগার খবর পেয়ে বন বিভাগ ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট, মংলা ও খুলনা ইউনিটের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
রাত ১০টার দিকে বনবিভাগ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড কর্মীদের সহায়তায় আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে সক্ষম হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর একটি ইউনিট শেষ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তাদের সহায়তার আর প্রয়োজন হয়নি বলে জানান ডিএফও।
এর আগে রাত ৮টার দিকে লঞ্চে থাকা ৩৯ পর্যটক ও ক্রুকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানান মংলাস্থ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. রাহাতুজ্জামান।
বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে তিনি বলেন, লঞ্চটিতে মোট ২৬ জন পর্যটক ও ১৩ জন লঞ্চ কর্মী ছিলেন।
হলিডেজ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেল্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান সুন্দরবনে এই ভ্রমনের আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক বাবু (পুরো নাম পাওয়া যায়নি) জানান, শুক্রবার সকালেই সুন্দরবন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে লঞ্চটি চাঁদপাই রেঞ্জের হারবারিয়া ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা হয়।
“লঞ্চটি বনবিভাগের হারবারিয়া ক্যাম্প ঘাটে নোঙর করেছিল। সন্ধ্যায় ফেরতি যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও আগুন লাগার সময় অধিকাংশ যাত্রী লঞ্চের বাইরেই ছিলেন। আগুনে লঞ্চের ২৮টি কেবিন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি।”
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে লঞ্চের ভেতর থাকা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও ইঞ্জিনের গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ অনুসন্ধানে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মেহেদী জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন এবং হারবারিয়া ক্যাম্পের প্রধান কর্মকর্তা কামরুল হাসান।
তিন সদস্যের এই কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
⇒ সুন্দরবনে পর্যটকবাহী লঞ্চে অাগুন
বিডিএন/এজি/এসআই/বিআই/০২ ডিসেম্বর, ২০১৬