স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় পর্যায়। এর আওতায় সারাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রাণরক্ষাকারী ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্যাম্পেইনে এবার বাগেরহাটের ১ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল (টিকা) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডা. অরুণ চন্দ্র মন্ডল এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর জেলাব্যাপি ৫ বছর ও তার কম বয়সী ১ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি ৫ হাজার ৯৪৬ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন।
এ জন্য বাগেরহাটের তিনটি পৌরসভাসহ জেলার ৯ উপজেলায় মোট ১ হাজার ৯৮২টি টিকা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এসব কেন্দ্রে ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে বিনামূল্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (টিকা) খাওয়ানো হবে।
সরকার বছরে দুইবার ভিটামিন খাওয়ানোর এই কর্মসূচি চালায়। চলতি বছর ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর পাশাপাশি ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের কেবল মাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো এবং ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমান মত ঘরে তৈরি সুসম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছানো হচ্ছে।
ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
উক্ত বয়য়ী সব শিশুকে ওই দিন যথাসময়ে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. অরুণ চন্দ্র মন্ডল বলেন, গত ১৬ জুলাই এর ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী ১৬ হাজার ১৩৬ শিশুকে এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৮ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ড. নজরুল ইসলাম, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এবিএম মোশাররফ হুসাইন প্রমুখ।
এএইচ/এসআই/বিআই/০৭ ডিসেম্বর, ২০১৬