স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
পুনঃখনন শেষে বাগেরহাটের ‘মংলা-ঘষিয়াখালী’ নৌ-চ্যানেল এবং দেশের বৃহত্তম খাদ্যগুদাম ‘মংলা সাইলো’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাইলো ও নৌ-চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নবনির্মিত ১১টি ড্রেজার উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনকালে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন- নৌ সচিব অশোক মাধব রায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়েরর সচিব এ এম বদরুদ্দোজা, বিআইডব্লিউটএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মীর শওকত আলী বাদশা, বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ কামরুজ্জামান টুকু প্রমুখ।
এর আগে সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের Chhild Help Line কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জেটি ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক স্থাপনাসহ সাইলো কমপ্লেক্সেটি নির্মাণে মোট ব্যায় হয়েছে ৫শ’ ৭৭ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৩শ’ ৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার এবং বাকি ২শ’ কেটি টাকা অর্থায়ন করেছে জাপানের জেডিসিএফ।
জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ৫০ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক এই কনক্রিট গ্রেইন সাইলোতে যান্ত্রিক উপায়ে খাদ্য খালাসের ব্যবস্থা থাকায় অপচয় এবং খরচ কমবে।
সাইলোর মতো মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটিও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সুন্দরবনের সুরক্ষার জন্য।
মংলা বন্দরের আন্তর্জাতিক নৌ-রুট মংলা–ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি পুনঃখননের মাধ্যমে চলাচল উপযোগী করতে ব্যায়ে হয়েছে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বিআইডাব্লিউটিএ।
বর্তমানে চ্যানেলেটি দিয়ে পূর্ণ জোয়ারে ১৫ গভিরতার নৌযান চলাচল করছে এবং সুন্দরবনে অভ্যান্তরের শ্যালা নৌ-পথটি বন্ধ রয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এসআইএইচ/বিআই/২৭ অক্টোবর, ২০১৬