মুক্তিপণের দাবিতে বঙ্গোপসাগরে অজ্ঞাতনামা একটি দস্যু দল শুক্রবার রাত তিনটা থেকে ভোররাত পর্যন্ত জেলেদের ট্রলারে গণডাকাতি চালিয়ে অন্তত ২০ জেলেকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে। অপহৃতদের মধ্যে তিন জেলের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলার।
শনিবার বিকেলে শরণখোলার মৎস্য সমিতির নেতা ও জাতীয় মৎস্য সমিতি শরণখোলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর তালুকদার জানান, দস্যুরা প্রত্যেক ট্রলার থেকে জ্বালানী তেলসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
জেলে দের বরাত দিয়ে তিনি বলেল, শুক্রবার রাতে শরণখোলা, পাড়েরহাট ও পাথরঘাটার প্রায় ২০-২৫ টি ট্রলারের জেলেরা বঙ্গোপসাগরের ১নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া ও বলেশ্বর নদীতে মাছ ধরছিলেন। রাত আনিমানিক তিনটার দিকে অজ্ঞাত দস্যু বাহিনীর ২৫-৩০ জন সশস্ত্র দস্যু এসে জেলেবহরে হানা দেয়। তারা প্রথমে প্রত্যেক ট্রলার থেকে ট্রলারের মাঝিকে তুলে নেয়। পরে ওইসব ট্রলার থেকে লুটে নেয় জ্বালানী তেল, মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল। তবে জেলেদের মুক্তিপণ হিসেবে কত টাকা চওয়া হয়েছে তা জানাতে পারেনি তিনি।
এদিকে অপহৃত শরণখোলার ৩ জেলের নাম পরিচয় জানা গেছে এরা হলেন, মৎস্য ব্যবসায়ী কবির আড়ৎদারের এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মাঝি মনির হোসেন (২৭), মজিবর তালুকদারের এফবি আল্লাহর শান ট্রলারের মাঝি মোস্তফা (৪৮) এবং আনোয়ার হোসেনের এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি লোকমান হোসেন (৪৫)।
অন্য জেলেদের বাড়ি পিরোজপুরের পাড়েরহাট ও বরগুনার পাথরঘাটা এলাকায় বলে স্থানীয় জেলে সুত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবনের কচিখালী কন্টিনজেন্টের কোস্টগার্ড কমান্ডার আব্দুল আহাদ জানান, তারা জেলেদের কাছে গণডাকাতি ও অপহরণের খবর শুনেছেন। তবে এর বেশি আর কিছু তিনি জানাতে পারেন নি তিনি।