স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটে ইছুব আলী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই ভাইকে যাবজ্জীবন এবং একই পরিবারের আরও চার সদস্যকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ পাওয়া দুই সহদরের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড এবং মামলার আরও চার আসামীর প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত।
যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই ভাই হলেন- বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাঁধাল নিকারীপাড়া গ্রামের সেরজন আলী সরদারের ছেলে আক্কাস আলী সরদার ও আশ্রাব আলী সরদার।
এক বছর করে দন্ড পাওয়া অপর ৪ জন হলেন- সেরজন আলী সরদারের ছেলে নুরুল ইসলাম, আক্কাস আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম, আশ্রাব আলীর ছেলে কামরুল আলী ও কামরুলের স্ত্রী কামরুন্নেছা।
দন্ডপ্রাপ্তরা মামলা চলাকালে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন দুই নারী আসামি। তারা হলেন- ফাতেমা বেগম ও মঞ্জিলা বেগম।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের সঙ্গে একই গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ২০০২ সালের ২০ ডিসেম্বর সকালে আসামিরা বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে গাছের ডাল কাটতে যান। এসময় শাজাহান হাওলাদারের বাবা ইছুব আলী হাওলাদার সেখানে এসে তাদের বাঁধা দেন।
এক পর্যায়ে আসামিরা সাবল, লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ইছুব আলীকে হত্যা করে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি (পিপি) কাজী মনোয়ার হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় শাজাহান বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে ওই দিন কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কচুয়া থানার তৎকালিন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল ইসলাম তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ১৫ মে ওই আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ বিচারিক কার্য শেষে মামলা দায়েরের ১৪ বছর পর আদালত স্বাক্ষ-প্রমাণের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় দেন।
এইচ/এসআই/বিআই/২০ অক্টোবর, ২০১৬