স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
খুলনা জেলা কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের (৪৫) মরদেহ বাগেরহাট আনা হচ্ছে।
ঝালকাঠিতে বোমা হামলা চালিয়ে বিচারক হত্যা মামলায় দন্ড কার্যকরের পর ওই জঙ্গিকে তার শশুর বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের উদয়পুর উত্তর কান্দী গ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জঙ্গি নেতা আরিফের দাফনকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার নিরাপত্তা জোদ্দার করা। ফাঁসি কার্যকার পরবর্তি আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হলে দাফরে সহায়তা করবে পুলিশ।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম খায়রুল আনাম জানান, দাফনের জন্য এরই মধ্যে কবর খোড়া সম্পন্ন হয়েছে। রাত পৌঁছালে রাতেই দাফন সম্পন্নের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দেন।
এরই মধ্যে ওই মামলার আসামী জেএমবির তৎকালীন শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুকের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ শীর্ষ এ ছয় জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়।
পলাতক থাকা আরিফ গ্রেপ্তারের পর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। উচ্চ আদালত তার রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন।
এইচ/এসআই/বিআই/১৬ অক্টোবর, ২০১৬