বাগেরহাটের চিতলমারীতে পান চাষে সাফল্য। লাভবান হওয়ায় পান চাষে ঝুকছে চাষিরা।
অনেক চাষিই ইতমধ্যে চাষ ব্যবস্থা পাল্টে পান চাষে আর্থিকভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঠিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে এ অঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে পান চাষের মাধ্যমে। সেই সাথে মজবুত হবে অর্থনৈতিক মেরুদন্ড।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় একযুগ আগে লবন পানির প্রকোপে এ অঞ্চলের বিল গুলোতে কোন ফসল ফলত না। তখন থেকে কৃষকেরা চাষ ব্যবস্থা পাল্টে চিংড়ি ঘেরে মাছ চাষ শুরু করে। প্রথম দিকে সাফল্য পেলেও গত কয়েক বছর ধরে চিংড়ি চাষে ধসের কারণে চাষিরা অর্থনৈতিক ভাবে সর্বশান্ত হয়ে পড়ে। তখন থেকে অনেকে চাষি বিকল্প ফসল চাষের পরিকল্পনা করে। শুরু হয় পরীক্ষামূলক পান চাষ। বর্তমানে এ চাষে অনেক চাষিই সাফল্য অর্জন করেছে।
উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের অশোকনগর গ্রামের অমর মন্ডল জানান, সে তার ৭ কাঠা জমিতে পান চাষে প্রথম বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার টকার পান বিক্রি করেছেন। এ ভাবে সে ৭ বছর পান থেকে আয় করতে পারবে। তার মতোন এলাকার আনেকেই পান চাষে তাদের অর্থনৈতিক সাফল্য দেখিয়েছেন।
তারা জানান, ১ একর জমিতে প্রথম বারে পান চাষে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ যায়। কিন্তু পান তোলা যায় ৭ বছর ধরে। কৃষকদের জন্য এটি একটি লাভজনক চাষ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শিবপুর, বড়বাড়িয়া, কলাতলা, হিজলা ও চরবানিয়ারী ইউনিয়নের অনেক কৃষক পরীক্ষামূলক ভাবে পান চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছে। এ অঞ্চলের মাটি পান চাষের জন্য উপযোগি।
তাদের হিসাব মতে, বর্তমানে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে সাথি জাতের পান চাষ হচ্ছে এবং দিন দিন পান বরজের সংখ্যা বাড়ছে। তবে, কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন পান চাষের সঠিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে এ অঞ্চলের কৃষক পরিবার গুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। সেই সাথে মজবুত হবে অর্থনৈতিক মেরুদন্ড, ঘুরে দাড়াবে কৃষক।