স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
পৃথক অভিযানে বাগেরহাটের রামপাল ও মংলা উপজেলায় এক ব্যক্তিকে জেল (কারাদন্ড) এবং তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব কুমার রায় ও মংলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু সুফিয়ান এই দন্ড দেন।
সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকালে রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া বাজারের একটি ওষুধের দোকানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় অননুমোদিত এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ মজুদ ও বিক্রির দায়ে মো. কোহিনুর রহমান সরদার (৪৫) নামে এক দোকানীকে ২ মাসের কারাদন্ড দেন ইউএনও রাজিব কুমার রায়।
দন্ডাদেশ প্রাপ্ত কোহিনুর রহমান ঝনঝনিয়া বাজারের রাজ্জাক ফার্মেসির স্বত্তাধিকারী।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক রাজিব কুমার রায় বলেন, রাজ্জাক ফার্মেসি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাজারে অনুমোদন ছাড়া আমদানিকৃত বিভিন্ন ধরণের ওষুধ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে আসছে; এমন অভিযোগে সোমবার বিকালে ওই দোকানে অভিযান চালানো হয়।
এসময় ওই ওষুধের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণের অননুমোদিত ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ এবং ফিজিশিয়ান্স স্যাম্পল জব্দ করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদলত বসিয়ে মেয়াদ অননুমোদিত ও উত্তীর্ণ ওষুধ মজুদ এবং বিক্রি দায়ে ফার্মেসি মালিককে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
এরআগে দুপুরে মংলা উপজেলার প্রধান বাজারে অভিযান চালিয়ে দুটি মিষ্টির দোকান এবং একটি খাবার হোটেলকে তিন হাজার টাকা জরিমান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু সুফিয়ান জানান, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন ও বিক্রির দায়ে মংলা পৌর শহরের আব্দুল হাই সড়কের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার আইনে জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযানের খবর পেয়ে শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট আগেই বন্ধ করে দেয় মালিকরা। বিশেষ করে বন্ধ হয়ে যায় সকল ওষুধের দোকান।
অভিযানের খবর পেয়ে শহরের অধিকাংশ দোকান মালিকেরা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়ে। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়ে হয় সাধারণ মানুষে।
স্থানীয়দের দাবি, অধিকাংশ দোকানেই বিভিন্ন ধরণে নকল, ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ এবং পণ্য বিক্রি করা হয়। তাই তারা অভিযানে ভয়ে পালিয়ে গেছে।
দুর্ভোগ পোহাতে হলেও স্থানীয়রা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
এইচ/এসআই/বিআই/০৩ অক্টোবর, ২০১৬