স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখার এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খলিফা (৫০) বাগেরহাট সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) ও সিবিএ নেতা। তাকে দুদক কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই নিয়ে বাগেরহাটে সোনালী বাংকের প্রধান শাখার সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট শাখার দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করল দুদক।
| সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ: সাবেক ম্যানেজার গ্রেপ্তার
দুদকের (বাগেরহাট-খুলনা-সাতক্ষীরা) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) আবুল হাশেম কাজী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন খলিফার নামে সোনালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখার প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা রয়েছে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাংকে অনিয়মিত ছিলেন।
অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার তাকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এরআগে গত ৭ আগষ্ট রাতে একই অভিযোগে ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমানকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে দুদক। বর্তমানে তিনি বাগেরহাট কারাগারে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
শেখ মুজিবর রহমান ও আরেক ব্যাংক কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবুকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। তবে ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) ও সিবিএ নেতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খলিফা এখনও চাকরিতে বহাল রয়েছেন।
| অর্থ আত্মসাৎ: সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
আবুল হাশেম কাজী বলেন, ২০১২-১৫ সাল পর্যন্ত বাগেরহাট শহরের রেলরোড সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক থাকা অবস্থায় শেখ মুজিবর রহমান ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবুসহ অন্তত ১২ জন যোগসাজশে ১৫০ জন গ্রাহকের এসওডি (সিকিউর ওভার ড্রাফট) বিপরীতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তাদের হিসাব থেকে চার কোটি ৪৯ লাখ টাকা আত্মসাত করেন।
“এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর ওই শাখায় নতুন যোগ দেয়া ব্যবস্থাপক খান বাবলুর রহমান বাদী হয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার মামলা করেন। ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত শুরু করে দুদক।”
“দুদকের প্রাথমিক তদন্তে টাকা আত্মসাতে ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা ও ১২ জন গ্রাহকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এদের সবার বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগপত্র দেয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংক খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অডিট নিরিক্ষাকালে সোনালী ব্যাংক বাগেরহাট প্রধান শাখার ওই অর্থ আত্মসাতের তথ্য ফাঁস হয়। এরপর ঘটনা তদন্তে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি কমিটি গঠন করে।
| বাগেরহাটে সোনালী ব্যাংকের কোটি টাকা লোপাট
এরমধ্যে ব্যাংকের পলাতক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবু আত্মসাত করা ৩৫ লাখ টাকা ফেরৎ দিয়েছেন। তবে তাকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি দুদক।
এইচ/এসআই/বিআই/২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬