স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণ।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ঢল নামে এই বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানে।
ঈদের দিনে দর্শনার্থীদের চাপ বেশি না থাকলেও এদিন দিনভরই ষাটগম্বুজে প্রবেশে ছিলো দীর্ঘ লাইন। কেউ এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ শিশু-কিশোরদের। কেউ বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ছবি তুলে, আড্ডা দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন ষাটগম্বুজ মসজিদ কম্পাউন্ডের বিশাল ক্যাম্পাসে।
ষাটগম্বুজে ঘুরতে আসা আফসানা ইসলাম বলেন, আমরা চাকুরিজীবিরা পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কমই সুযোগ পাই ঘুরতে বের হবার। অনেক দিন পর ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ থেকে বাগেরহাটে ঘুরতে এসেছে। এখানে হয়রত খানজাহান (রহ:) এর মাজার, তার নির্মিণ প্রাচীন রাস্তা, বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে আমরা ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে এসেছি।
এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর। সবাই মিলে ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনায় ঘুরে ছুটি উপভোগ করছি।
বাগেরহাট শহরের শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন বাগেরহাটে বাইরে থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে অনেক দিন বাদে ষাটগম্বুজ মসজিদে আসলাম। ওরা খুব আনন্দ পাচ্ছে, ঐতিহ্য নিয়ে জানতে পারছে। ঐতিহাসিক এই স্থানটি পরিবেশ আগের চেয়ে বেশ ভালো হয়েছে। আশ পাশের পরিবেশ আরও উন্নত করা উচিত।’
বাগেরহাট জাদুঘরে কর্মরত প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মো. রিপন মলঙ্গী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ঈদের দিনের চেয়ে আজ ষাটগম্বুজে দর্শনার্থীর চাপ অনেক বেশি। সকাল থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত প্রায় অর্ধলক্ষ্য দর্শনার্থী এসেছে ষাটগম্বুজ মসজিদে।
বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. গোলাম ফেরদৌস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, প্রায় সাড়ে ছয়শ বছরের পুরনো হযরত খানজাহান (রহ.) ঐতিহাসিক স্থাপত্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ও মাজার দেখতে হাজার হাজার দর্শনার্থী ছুটে আসেন। এবার ঈদে লম্বা ছুটি এবং অনুকুল আবহাওয়ার কারণে ষাটগম্বুজ এবং হয়রত খানজাহান (রহ.) এর মাজারে প্রচুর দর্শনার্থী সমাগম ঘটেছে।
ষাটগম্বুজ মসজিদ সংলগ্ন ঘোড়া দিঘী এবং মসজিদ কম্পাউন্ডের বিশাল পরিসরে দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ষাটগম্বুজে এক দিনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াবে বলেও আশা তার।
ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ছাড়াও হযরত খানজাহান (রহ.) এর মাজার, ভৈরব নদী তীরবর্তী শহরের পৌর পার্ক, মুনিগঞ্জ ব্রিজ, বারাকপুর সুন্দরবন রিসোর্ট, দশানী পার্ক, চন্দ্রমহল ইকোপার্ক, সুন্দরবনসহ প্রতিটি স্পটেই ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়।
বাগেরহাটের জেলা প্রসাসক মো. জাহাংগীর আলম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বাগেরহাট দেশের অন্যতম পর্যটন সমৃদ্ধ একটি জেলা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় ষাটগম্বুজ, সুন্দরবনসহ জেলার সকল পর্যটন স্পটে পর্যপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এইচ/এসআই/বিআই/১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬